‘ব্রেন ফগ’ কেন হয়? ছবি: শাটারস্টক।
বয়স হলে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া স্বাভাবিক, তবে অল্প বয়সেই যদি সব ভুলতে শুরু করেন, সে ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া জরুরি। চিকিৎসকদের মতে ‘ব্রেন ফগ’-এর কারণে এমনটা হতে পারে। ‘ব্রেন ফগ’ কথাটি আদতে কোনও বৈজ্ঞানিক শব্দবন্ধ নয়। সাধারণত এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা নিজেদের শারীরিক অবস্থা ব্যাখ্যা করার জন্য এই শব্দটি বলে থাকেন। আচমকা ভাবনাচিন্তা শ্লথ হয়ে যাওয়া, মনোযোগের অভাব, স্মৃতিলোপের মতো নানা ধরনের সমস্যাকে উপসর্গের অন্তর্গত ভাবা হয়। এমনকি, অনেকে সমস্যায় পড়েন কথা বলার সময়েও। কথা বলতে গিয়েও বলতে না পারার সমস্যা দেখা দিতে পারে অনেক ক্ষেত্রে।
কেন হয় এই সমস্যা?
১) মানসিক চাপ।
২) ঘুমের অভাব।
৩) শরীরে হরমোনের পরিবর্তন।
৪) ওষুধের প্রভাব।
৫) ডায়াবিটিস, অ্যানিমিয়া, কোভিডের প্রভাব।
কী ভাবে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা যায়?
মাথা খাটানোর খেলা: এমন কিছু খেলা রয়েছে, যা মাথার ব্যায়ামে কাজে লাগে। শব্দছক, তাসের কিছু খেলা বা দাবার মতো বোর্ড গেমে মাথার ভাল ব্যায়াম হয়। এই সময়ে টেলিভিশন দেখে বা অন্য ভাবে সময় কাটালে, তা হয় না। এই ধরনের মাথার ব্যায়ামের মতো খেলা যদি প্রতি দিন কিছুটা সময় খেলা যায়, তা হলে মনের ক্লান্তি কাটতে পারে।
স্ক্রিন টাইম কমান: এখন প্রত্যেকের ফোনে সর্বদা নানা নোটিফিকেশন আসতেই থাকে। মেসেজ বা ইমেল তো আছেই, তার বাইরে নানা অ্যাপের নানা নোটিফিকেশন। এতে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতি দিন কিছুটা সময় ধ্যান করা যেতে পারে। মানসিক চাপও স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী। ‘ব্রেন ফগ’-এর সমস্যা থাকলে মোবাইল, টিভি, কম্পিউটারের পর্দার দিকে যত কম তাকাবেন, ততই ভাল।
পর্যাপ্ত ঘুম চাই: স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য ঘুম ভীষণ জরুরি। দীর্ঘ ক্ষণ রাত জাগার অভ্যাস শরীরের পাশাপাশি স্মৃতিশক্তির উপরেও প্রভাব ফেলে।
মদ্যপানে লাগাম জরুরি: শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করার পাশাপাশি মদ্যপান কিন্তু মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে। বেশি মাত্রায় মদ্যপান করলে মস্তিষ্কের কোষগুলি ধ্বংশ হয়, স্মৃতিশক্তির উপরেও প্রভাব ফেলে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন: রেস্তরাঁর ভাজাভুজি বা প্রক্রিয়াজাত খাবার যদি মাত্রাতিরিক্ত খেতে থাকেন, তা হলে শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কেরও বারোটা বাজবে। কেবল শরীরে মেদ জমে না, এই অভ্যাসের ফলে স্মৃতিশক্তিও ব্যাহত হয়।