দাঁতে পোকা লাগলে ঝুঁকি বাড়ে হৃদ্রোগেরও। ছবি: শাটারস্টক।
আপনি কি মনে করেন, নিয়মিত দাঁত না মাজলে কেবল আপনার দাঁতেরই ক্ষতি হবে? ধারণাটা কিন্তু ভুল। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দাঁতের স্বাস্থ্যের সঙ্গে কিন্তু ডায়াবিটিস, হৃদ্রোগ এমনকি ক্যানসারেরও যোগ রয়েছে।
ভারতীয় পুরুষরা সবচেয়ে বেশি মাথা ও ঘাড়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এই সব ক্যানসারের সঙ্গে কমবেশি কোথাও না কোথাও তামাকের যোগ থাকে। প্রত্যেক বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ মুখের ক্যানসারেও আক্রান্ত হন। এই ক্যানসারের মূল কারণই হল তামাক খাওয়ার অভ্যাস এবং দাঁতের প্রতি অযত্ন ও অবহেলা।
শুনতে অবাক লাগলেও, ওরাল হেল্থ অবসারভেটারির একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, শুধু মাত্র ৪৫ শতাংশ ভারতীয় দিনে দু’বার করে দাঁত মাজেন। যেখানে চিন, কলম্বিয়া, ইটালি এবং জাপানের মতো দেশে ৭৮ থেকে ৮৩ শতাংশ মানুষ দু’বেলা নিয়ম করে ব্রাশ করেন। এই সমীক্ষায় আরও ধরা পড়েছে যে, ভারতীয়দের মধ্যে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি অন্যান্য দেশের তুলনায়। সে কারণেও দাঁতের বেশি ক্ষতি হয় ভারতীয়দের। দাঁতের ক্যাভিটি থেকেই আলসার, শরীরে ভিটামিন বি-র ঘাটতি, আয়রনের ঘাটতির মতো সমস্যাও হয়।
তিন মাস পর পর ব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। ছবি: শাটারস্টক।
কী ভাবে নেবেন দাঁতের যত্ন?
প্রতি দিন দু’বার দু’মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে এবং রাতে খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে। অবশ্যই নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। তিন মাস পর পর ব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। পাশাপাশি নয়, উপর-নীচে ব্রাশ করতে হবে। যে কোনও খাবার খাওয়ার পরে ভাল করে জল দিয়ে কুলকুচি করতে হবে। কুলকুচি করার সময়ে আঙুল দিয়ে মাড়ি মাসাজ করতে হবে। খুব মিষ্টি জাতীয় বা আঠালো খাবার বা পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। বেশি করে জল পান করতে হবে। লেবু ও পেয়ারা জাতীয় ফল বেশি করে খাওয়া উচিত। কারও মুখে বেশি ধারালো দাঁত থাকলে, তা ঘষে ঠিক করে নিতে হবে।