পেয়ারার পুষ্টিগুণের কথা অনেকেই জানেন। পেয়ারা পাতার গুণও কম নয়। ছবি- সংগৃহীত
গরমের নানা রকম ফলের মধ্যে পেয়ারা অন্যতম। চিলেকোঠার ঘরে, গ্রীষ্মের দুপুরবেলা অল্প একটু নুন আর লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মাখা পেয়ারা খেতে কার না ভাল লাগে! পেয়ারার পুষ্টিগুণের কথা অনেকেই জানেন। পেয়ারা পাতার গুণও কম নয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পেয়ারা পাতার নির্যাস হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, হজমশক্তি উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে পেয়ারার মধ্যে এমন কিছু যৌগ আছে, যা সকলের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। পেয়ারা খেতে ভাল লাগে বলে অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে ফেললে তা ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। আসলে পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। এ ছাড়া, এমন কিছু সমস্যা রয়েছে, যা থাকলে পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়।
পেয়ারায় ফাইবারের পরিমাণ এত বেশি যে, তা হজমের সমস্যা করে। ছবি- সংগৃহীত
কোন কোন সমস্যায় পেয়ারা এড়িয়ে চলবেন?
১) পেটের সমস্যা
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পেয়ারা খেলে উপকার মেলে, কিন্তু অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে পেট ফাঁপা বা হজমের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। পেয়ারায় থাকা অতিরিক্ত ফ্রুক্টোজ় রক্ত শোষণ করতে না পারলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
২) সর্দি-কাশিতে ভুগলে
পেয়ারায় জলের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তাই যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাঁদের জন্য পেয়ারা সমস্যার কারণ হতে পারে। তবে সকালে জলখাবার খাওয়ার পর পেয়ারা খেলে এই সমস্যা কিছুটা হলেও এড়ানো যায়। কিন্তু দুপুর-বিকেলের পর পেয়ারা খাওয়া চলবে না।
৩) নতুন মায়েরা পেয়ারা না খেলেই ভাল
পেয়ারায় ফাইবারের পরিমাণ এত বেশি যে তা হজমের সমস্যা করে। আর খাবার হজম না হলে স্তন্য উৎপাদনে সমস্যা হতে পারে।