আর্থরাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। প্রতীকী ছবি।
শরীরের যত্ন নিতে যে ফলগুলি সবচেয়ে উপকারী ভূমিকা পালন করে, তার মধ্যে অন্যতম পেঁপে। শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে থেকে লিভারের যত্ন নেওয়া— সবেতেই পেঁপের ভূমিকা অনবদ্য। এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে রোজের পাতে পেঁপে রাখার কথা বলে থাকেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ।
পেঁপে যেমন স্বাস্থ্যকর, ঠিক তেমনই পেঁপের বীজও কম উপকারী নয়। পেঁপে কাটার সময় বেশির ভাগই পেঁপের বীজ ফেলে দেন। অনেকেই হয়তো জানেন না, পেঁপের বীজ ঠিক কতটা স্বাস্থ্যগুণ। এতে রয়েছে ভিটামিন, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো কিছু জরুরি উপাদান। এই বীজ ফ্ল্যাভোনয়েডের অন্যতম সমৃদ্ধ উৎস, যা হজমক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কাজ করে।
পেঁপে যেমন স্বাস্থ্যকর, ঠিক তেমনই পেঁপের বীজও কম উপকারী নয়। ছবি: সংগৃহীত
আর কী কী কাজে লাগে পেঁপের বীজ?
ওজন কমাতে চেষ্টার শেষ রাখেন না কেউই। শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, জিমে যাওয়া তো রয়েছেই। এত কিছু করেও যে সব সময় সুফল মেলে তা নয়। তবে রোগা হওয়ার একটি সহজ উপায় হতে পারে পেঁপের বীজ। এই বীজের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে পরিপাকক্রিয়া ভাল থাকে। হজমের সমস্যা থাকলে এই ঘরোয়া উপায়ে তা দূর করতেই পারেন। হজমশক্তি ভাল হলেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। প্রদাহ কমাতেও পেঁপের বীজ দারুণ কার্যকর। শরীরের যে কোনও সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখে এই বীজ। আর্থারাইটিসের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, ঘরোয়া উপায়ে ব্যথা-যন্ত্রণা থেকে দূরে থাকে ভরসা রাখতে পারেন পেঁপের বীজে।
কী ভাবে খাবেন?
পেঁপে খাওয়ার আগে বীজগুলি ফেলে না দিয়ে সেগুলি একটা পাত্রে তুলে রোদে শুকিয়ে নিন। এ বার সেই বীজগুলি গুঁড়ো করে একটি কাচের পাত্রে ভরে রাখুন। এই বীজের স্বাদ তেঁতো হয়। যে কোনও স্যালাড কিংবা স্মুদি বানানোর সময়ে এই গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন, পুষ্টিগুণও পাবেন আর তেঁতোও লাগবে না।