বদহজম কিন্তু অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
সব ধরনের ক্যানসারের তুলনায় অগ্যাশয়ের ক্যারসারের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেশি। চিকিৎসকদের মতে, অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার সহজে চিহ্নিত করা যায় না। সাধারণ হালকা মানের জন্ডিস এই ক্যানসারের প্রধান উপসর্গ। কিন্তু হালকা জন্ডিস হলে কেউই অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের পরীক্ষা করান না। ফলে তা ধরা পড়ে না। যখন ধরা পড়ে, অনেকটাই ছড়িয়ে যায় ক্যানসার। ছড়ায় মূলত ফুসফুস আর যকৃতে।
অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার তখনই হয়, যখন পাকস্থলীর পিছনের অগ্ন্যাশয় গ্রন্থির কোষসমূহ আনিয়ন্ত্রিত ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে একটি পিণ্ড সৃষ্টি করে। আর এই ক্যানসার কোষগুলি শরীরের অন্য অংশে আক্রমণ করতে শুরু করে। ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, স্থূলতা, ডায়াবিটিসের সমস্যা, ধূমপান এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
তাই মারাত্মক এই ক্যানসার থেকে নিজেকে সচেতন রাখতে জেনে নিন অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের প্রধান কিছু লক্ষণ।
১) বদহজম: খাওয়াদাাওয়ায় অনিয়ম হলে কমবেশি সকলেই বদহজমের সমস্যায় ভোগেন। তবে এই সমস্য সাময়িক। যদি দেখেন ওষুধ খাওয়ার পরেও মাঝেমাঝেই এই সমস্যা মাথাচড়া দিয়ে উঠছে, তা হলে কিন্তু চিকিৎসকরে পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়। বদহজম কিন্তু অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এই প্রকার ক্যানসারের রোগীদের বদহজমের সঙ্গে সঙ্গে খাওয়ার ইচ্ছা চলে যাওয়া, সারা ক্ষণ বমি বমি ভাব— এই সমস্যাগুলির সম্মুখীন হতে হয়।
প্রতীকী ছবি।
২) পেটে ব্যথা: সব রোগীদের এই ক্যানসার ধরা পড়ে তাঁদের বেশির ভাগই চিকিৎসকের কাছে যান পেটে ব্যথার সমস্যা নিয়ে। অসহ্য পেটে যন্ত্রণা এই ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ। কিছু খেলে কিংবা শুয়ে থাকলে এই যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে যন্ত্রণা পেট থেকে পিঠের দিকেও ছড়িয়ে পড়ে।
৩) জন্ডিস: বার বার জন্ডিসে আক্রান্ত হলে কিন্তু সেটি মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। এই ক্যানসারে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক পর্যায় অনেকেই জন্ডিসে আক্রান্ত হন। তাই সাবধান হন। ঘন ঘন ডায়েরিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হওয়া, দীর্ঘদিন জ্বর, ক্লান্তিবোধও অগ্যাশয় ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।