Pain Killer Warning: ব্যথা কমাতে ভরসা রাখছেন ওষুধে? ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা কোন বিপদ ডেকে আনতে পারে

মাথায়, হাত-পায়ে একটু ব্যথা হতে না হতেই ব্যথার ওষুধ খেয়ে নেন অনেকে। এই অভ্যাসে কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২২ ০৮:৪৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত

শরীরে কোনও সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া জরুরি। কিন্তু একটু মাথা ব্যথা হল কি হল না, তৎক্ষণাৎ ব্যথা কমাতে ওষুধ খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা একেবারেই ভাল নয়। বিশেষ করে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়া ভাল। ব্যথা যদি খুব বেশি না হয়, তা হলে আগ বাড়িয়ে ব্যথার ওষুধ না খাওয়াই উচিত। চটজলদি ব্যথা কমাতে অনেকেই ভরসা রাখেন প্যারাসিটামল এবং এই জাতীয় ওষুধে। খোলা বাজারে সবচেয়ে বেশি যা পাওয়া যায়, তার মধ্যে প্রধান হল নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গোত্রের ওষুধ। এই ধরনের ওষুধ ব্যথা কমানোর পাশাপাশি প্রদাহও কমায় বলে এই সব ওষুধে চটজলদি কাজ হয়। তবে প্যারাসিটামল কিন্তু ব্যথা কমালেও, প্রদাহ কমাতে পারে না।

Advertisement

আরও পড়ুন:

ছবি: সংগৃহীত

একটু ব্যথা হলেই এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা নানা শারীরিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। বদহজম, পেট ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয়। কারও কারও ক্ষেত্রে গ্যাসের সমস্যাও দেখা যায়।

Advertisement

৬০-বছরের উপরে যাঁদের বয়স, বেশি ব্যথার ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা তাঁদের ক্ষেত্রে মারাত্মক শারীরিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। এ ছাড়াও যাঁরা রক্ততারল্যের ওষুধ বা স্টেরয়েড গোত্রের ওষুধ খান, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে হৃদ্‌যন্ত্রে সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ব্যথার ওষুধ বেশ বিপজ্জনক। এমনকি কিডনির কোনও সমস্যা থাকলেও কিন্তু ব্যথার কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।

আরও পড়ুন:

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement