Scrub Typhus

Scrub Typhus: কলকাতায় স্ক্রাব টাইফাসের হানা! কী এই রোগ

স্ক্রাব টাইফাস শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ টাইফাস থেকে যার অর্থ হল ধোঁয়াটে বা অস্পষ্ট। মাইট পোকার কামড় থেকে এই রোগ মানবদেহে ছড়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২২ ১৭:৩০
Share:

প্রাথমিক ভাবে এই পোকা কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে কোনও ব্যথা অনুভব হয় না।

ফের শহরে ফিরল স্ক্রাব টাইফাসের আতঙ্ক। কলকাতাতে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত বেশ কয়েকজন। পার্ক সার্কাসের শিশু হাসপাতালে তিন সপ্তাহের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১০ জন ভর্তি হয়েছে। যোধপুর পার্ক এলাকায় এক শিশুও স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। তবে এখন সে রোগমুক্ত। বারুইপুর এলাকার এক শিশু পেটে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়, তার শরীরেও এই রোগের হদিস মিলেছে

Advertisement

স্ক্রাব টাইফাস শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ টাইফাস থেকে যার অর্থ হল ধোঁয়াটে বা অস্পষ্ট। এঁটুলি পোকার মতো দেখতে ট্রম্বিকিউলিড মাইটস বা টিক-এর মতো পরজীবী পোকার কামড় থেকে এই রোগের জীবাণু মানবদেহে ছড়ায়। এই পোকাগুলির আকার ০.২ মিলিমিটার থেকে ০.৪ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়।

সাধারণত গ্রামবাংলার কৃষিজমিতে এই ধরনের পোকা দেখা যায়। যদিও শহুরে এলাকায় বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টে ছোট বুশ, ঝোপঝাড়, গাছপালা কিংবা পোষ্যের গায়ে এই ধরনের পোকার দেখা হামেশাই মেলে। সাধারণত বর্ষায় এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। প্রাথমিক ভাবে, এই পোকা কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে কোনও ব্যথা অনুভব হয় না। তবে পরে তা শরীরের ভিতরে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করে।

Advertisement

প্রতীকী ছবি।

এই রোগের মূল লক্ষণগুলি কী কী?

সাধারণ জ্বরের মতোই এই রোগেও যে লক্ষণগুলি দেখা যায়, সেগুলি হল—

  • তীব্র মাথা ব্যথা
  • অত্যধিক জ্বর
  • গা-হাত-পায়ে ব্যথা
  • সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা
  • পিঠে ও বুকে র‍্যাশ যা ক্রমশ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে
  • পেটের সমস্যা
  • চোখ লাল হয়ে যায়
  • শরীরের লসিকাগ্রন্থিগুলি ফুলতে শুরু করে

বেশ কিছু ক্ষেত্রে রোগীর শরীরে পোকা কামড়ানোর দাগ পাওয়া যায়। দাগটা খানিকটা সিগারেটের ছ্যাকার মতো হয়। এগুলিকে বলে এসকার। যা দেখেই সাধারণত রোগ শনাক্ত করা হয়ে থাকে। অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিইন এই রোগের অন্যতম ওষুধ। এই পরিস্থিতিতে জ্বর হলেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়াই শ্রেয়। মনে রাখবেন, স্ক্রাব টাইফাস কিন্তু মারণরোগ নয়। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা হলে রোগী সম্পূর্ণ ভাবে সেরে ওঠে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement