সদ্যজাতকে সঙ্গে নিয়েই করুন শরীরচর্চা। ছবি- সংগৃহীত।
মেয়েদের কাছে মা হওয়ার মতো আনন্দঘন মুহূর্ত আর নেই। তবে মা হওয়া তো মুখের কথা নয়! শরীর এবং মনের উপর দিয়ে যে পরিমাণ ঝড় যায়, তা সহ্য করে নতুন মানুষটির মুখ দেখতে হয়। এই সময়ে মেয়েদের ওজন বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। সন্তানজন্মের পরেও চট করে শরীর আগের আকার ফিরে পায় না। তার জন্য যথেষ্ট কসরত করতে হয়। ডায়েট করতে পারলেও ভাল হয়। তবে, প্রসব করার পর নতুন মায়েদের শরীর অনেক রকম পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়। তা ছাড়া সন্তানকে নিয়মিত স্তন্যপানও করাতে হয়। তাই চট করে কড়া ডায়েটের মধ্যে যাওয়াও ঠিক নয়। শরীর দুর্বল থাকে, তাই খুব কায়িক পরিশ্রম করতে গেলেও কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। তা হলে মেদ ঝরাতে কী কী করবেন?
১) অবস্থা বুঝে শরীরচর্চা
শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। তাই শরীরচর্চা করতে হবে। কিন্তু শরীরের অবস্থা বুঝে। প্রাণায়াম, যোগাসন, অ্যারোবিক্স-এর মতো হালকা ব্যায়াম কিংবা হাঁটাহাটি দিয়ে শরীরচর্চা শুরু করা যেতে পারে। তবে যাঁদের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় থাকাকালীন শারীরিক জটিলতা ছিল কিংবা প্রসবকালেও অল্পবিস্তর সমস্যা হয়েছে, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২) সঠিক ডায়েট
নতুন মায়েরা যে হেতু স্তন্যপান করান। তাই চট করে কড়া ডায়েটের মধ্যে তাঁদের যাওয়া উচিত হবে না। সে ক্ষেত্রে দুধের উৎপাদন কমে যেতে পারে। শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তাই প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজের পর্যাপ্ত জোগান যেন সঠিক মাত্রায় বজায় থাকে, সেই দিকে নজর দিতে হবে।
৩) বেশি প্রোটিন
শরীরের যে কোনও ক্ষত সারাতে প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া বিপাকহার উন্নত করতেও প্রোটিন প্রয়োজন। কার্বোহাইড্রেট যদি কম খেতেই হয়, সে ক্ষেত্রে শক্তির জোগান দিতে গেলে নিয়মিত মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ খেতে হবে।
৪) পর্যাপ্ত জল
শরীরে যাতে আর্দ্রতার অভাব না হয়, সেই দিকেও নজর দিতে হবে। ওজন ঝরানোর লক্ষ্য পূরণ করতে জলেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। বিপাকহার উন্নত করতে এবং শারীরবৃত্তীয় কাজগুলি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে পরিমাণ মতো জল খেতেই হবে।
৫) পর্যাপ্ত ঘুম
সন্তানের জন্য অনেক মায়েরই রাতে ঘুম হয় না। তবে অপর্যাপ্ত ঘুম কিন্তু শরীর আরও দুর্বল করে দেয়। রাতে না হলেও সারা দিনে সময় পেলেই ঘুমের কোটা পূরণ করে ফেলতে হবে।