দেশকে তামাক মুক্ত করতে এমনই কড়া আইন আনল নিউ জ়িল্যান্ড সরকার। ছবি: সংগৃহীত
২০০৯ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্মানো কোনও ব্যক্তি তামাক ও তামাকজাত জিনিস ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন না। দেশকে তামাকমুক্ত করতে এমনই কড়া আইন আনল নিউ জ়িল্যান্ড সরকার। মঙ্গলবার বিলটি পাস হয়ে গিয়েছে সে দেশের পার্লামেন্টে। আইন লঙ্ঘন করতে গিয়ে ধরা পড়লে পঁচানব্বই হাজার মার্কিন ডলারেরও বেশি জরিমানা হতে পারে, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় আশি লক্ষ টাকার কাছাকাছি।
মঙ্গলবার নিউ জ়িল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আয়েশা ভেরাল সংসদে এই বিলটি আনেন। বামপন্থী লেবার পার্টি, গ্রিন পার্টি ও তে পাত্তি মাওরি-র সদস্যরা এই বিলের প্রতি সমর্থন জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আয়েশা জানিয়েছেন, তাঁরা ভবিষ্যতে একটি ধূমপানমুক্ত দেশ গড়তে চান। তাঁর আশা, নতুন এই আইনে ৯০ শতাংশ কমে যাবে তামাক ও তামাকজাতক দ্রব্যের বিক্রি। বর্তমানে নিউ জ়িল্যান্ডের প্রায় ৬ হাজার সংস্থা তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিকিকিনির সঙ্গে যুক্ত। নতুন আইন পাশের পর সেই সংখ্যা ছশো-তে দাঁড়াবে বলে মত মন্ত্রীর।
বর্তমানে নিউ জ়িল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮ শতাংশ মানুষ ধূমপান করেন। ছবি: সংগৃহীত
মন্ত্রীর দাবি, তামাক ও তামাকজাতীয় দ্রব্য সেবনের ফলে ক্যানসার, হার্ট অ্যাটাক ও অঙ্গহানির মতো সমস্যা দেখা দেয়। আর তার চিকিৎসায় সার্বিক ভাবে ছাব্বিশ হাজার চারশো কোটি টাকা খরচ হয় সাধারণ মানুষের। এই আইনে আইন আসার পর মানুষ আরও বেশি দিন বাঁচবেন, সুস্থ ভাবে বাঁচবেন এবং এই খরচ অনেকটাই কমে যাবে, আশা আয়েশার। সরকারি হিসাব বলছে, বর্তমানে নিউ জ়িল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮ শতাংশ মানুষ ধূমপান করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশা ২০২৫ সালের মধ্যে তাঁরা পুরোপুরি ধূমপানমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে পারবেন। তবে বিলটি পাস হয়ে গেলেও পার্লামেন্টের সংখ্যালঘু ডানপন্থী বিরোধী দল এসিটি বিরোধিতা করেছে এই আইনের। তাদের দাবি, এতে তামাক ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে।