খাদ্যতালিকায় নিয়মিত আলুবোখরা রাখলে বিএমডির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ছবি: সংগৃহীত
মাঝে মধ্যেই বিরিয়ানি খাওয়ার সময় পাতে পড়ে টক মিষ্টি ফল আলুবোখরা। চাটনিতে এই ফল পড়লে তার স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তবে এ দেশে আলাদা করে ফল হিসেবে আলুবোখরা খাওয়ার চল নেই বললেই চলে। নানা গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ফল খেলে নাকি ওজনও কমে। শুধু তাই নয়, প্রতি দিন আলুবোখরা খেলে হাড়ের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে। হাড়ের ক্ষয় কমাবে এবং ভাঙা বা চিড় ধরার ঝুঁকিও কমাতে পারে এই ফল।
আমেরিকার পেনসিলভ্যানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির তরফে এই নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘দি অ্যাডভান্সেস ইন নিউট্রিশন’ নামের একটি গবেষণাপত্রে। হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ‘বোন মিনারেল ডিপোজিট’-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকা জরুরি। গবেষকরা দাবি করেছেন, খাদ্যতালিকায় নিয়মিত আলুবোখরা রাখলে বিএমডির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
প্রতীকী ছবি
মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুবন্ধের পর ‘বোন মিনারেল ডিপোজিট’ দ্রুত গতিতে কমতে শুরু করে। ফলে মহিলাদের বয়স বছর পঞ্চাশ পেড়োলেই তাঁরা নানা হাড়-সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। গাঁটের ব্যথা, বাতের ব্যথা এই বয়েসের মহিলাদের লেগেই থাকে। সামান্য আঘাতেই হাড় ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যায় পড়তে হয়। ব্যথা হওয়ায় হাঁটতে-চলতেও নানা সমস্যা হয়ে থাকে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, আগে থেকেই নিয়মিত আলুবোখরা খাওয়ার অভ্যাস থাকলেই লাগাম থাকবে এই সমস্যায়। আলুবোখরায় বোরন, পটাশিয়াম ও ভিটামিন কে ভরপুর মাত্রায় থাকে যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দারুণ উপকারী।
কী ভাবে খাওয়া যায়?
যে কোনও স্যালাড ব্যবহার করা যায় আলুবোখরা। খিদে পেলে স্ন্যাকস হিসেবেও খেতে পারেন এই ফল। তা ছাড়া স্মুদিতেও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে, খেতে মন্দ লাগবে না।