অবসাদ, স্মৃতিনাশের ঝুঁকি কমাবে নাকের স্প্রে? ছবি: ফ্রিপিক।
নাকের স্প্রে নিলেই কমে যাবে অবসাদ? মনের রোগ সারাতে খাওয়ার ওষুধ নয়, বরং ন্যাজ়াল স্প্রে তৈরি করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন। তিন দফার ট্রায়ালের পরে তাতে অনুমোদনও দিয়েছে আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ)। সংস্থার দাবি, নাকের স্প্রে-টি নির্দিষ্ট ডোজ়ে নিলে ‘মেজর ডিপ্রেসিভ ডিজ়অর্ডার’ (এমডিডি)-র মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
মনের অসুখ চট করে সারে না। দীর্ঘকালীন অবসাদ থেকে জন্ম নেয় আরও নানা জটিল মানসিক ব্যধি। মনোবিদেরা বলেন, অবসাদ বাড়তে থাকলে তা থেকে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিনাশের উপসর্গও দেখা দিতে পারে। আবার অবসাদের কারণে অ্যালঝাইমার্সের লক্ষণ দেখা দেওয়াও অসম্ভব কিছু নয়।
এত দিন অবসাদ সারাতে মনোরোগ চিকিৎসকেরা নানা রকম কাউন্সেলিং পদ্ধতির পাশাপাশি খাওয়ার ওষুধও দিতেন। এই সব ওষুধ দীর্ঘ দিন ধরে খেয়ে গেলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হত। জনসন অ্যান্ড জনসনের ইনোভেটিভ মেডিসিন বিভাগের প্রধান নিউরোলজিস্ট বিল মার্টিন জানিয়েছেন, অবসাদের ওষুধ মুঠো মুঠো খেতে থাকলে তার প্রভাব পড়বে হার্ট, লিভার ও কিডনিতে। পাশাপাশি, প্রজনন ক্ষমতাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সে কারণেই এমন একটি ন্যাজ়াল স্প্রে তৈরি হয়েছে, যা খুব কম ডোজ়ে নিলেই কাজ হবে। নাকে ড্রপ নেওয়ার পরেই সেই ওষুধ সরাসরি সংবেদবাহী নিউরোট্রান্সমিটারগুলিকে সক্রিয় করবে। এগুলির সক্রিয়তা বাড়লে মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গে যৌথ ভাবে ওষুধটি তৈরি করছেন সেন্ট চার্লস সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের গবেষকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, অবসাদের পাশাপাশি স্মৃতিনাশ, অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও নাকের ড্রপটিকে ব্যবহার করা হবে। দীর্ঘকালীন অবসাদের কারণে অনেক রোগীরই আত্মহননের চিন্তা আসে। তেমন মানসিক পরিস্থিতিতেও ওষুধটি রোগীর উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে বলেই আশা করা যায়।