জ্বর মানেই ওষুধ নয়, তবে সংক্রমণ রোখার উপায় কী? ছবি- সংগৃহীত
আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে টুকটাক ঠান্ডা লাগা এখন ঘরে ঘরে। ইদানীং আবার করোনারও বেশ বাড়বাড়ন্ত। কিন্তু এই জ্বর সাধারণ ভাইরাল, না কি করোনা, আপাত দৃষ্টিতে তা বোঝা মুশকিল। জ্বর যেমনই হোক, খুব বাড়াবাড়ি না হলে প্রথমেই চিকিৎসক পর্যন্ত দৌড়ে যান না কেউই। সাধারণ জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই জ্বর কমার ওষুধ খেয়ে ফেলেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কারও পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু আদৌ ভাল নয়। কারণ, তৎক্ষণাৎ জ্বর কমলেও অধিকাংশ ওষুধেরই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। ভবিষ্যতে এই অভ্যাসই বিপদ ডেকে আনতে পারে।
জ্বর কিন্তু কোনও রোগ নয়। সাধারণ ভাবে শরীরে কোনও সংক্রমণ হলে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এই সংক্রমণ কমানোর জন্য সব সময় যে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে তা-ও নয়। দেহের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে, প্রচণ্ড শীত অনুভূত হলে, মাথায় বা সারা দেহে যন্ত্রণা হলে, তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কিন্তু যদি তেমন অস্বস্তি না হয়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ কিছু পন্থা অবলম্বন করলেই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হলে ওষুধ ছাড়া আর কী কী উপায়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে?
প্রচুর পরিমাণে তরল পানীয় খেতে হবে
জ্বর হলে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। সেই সময় জল খেতে একেবারেই ইচ্ছে করে না। তাই শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। কিন্তু চিকিৎসকরা বলেন, এই সময় শরীর বেশি করে আর্দ্র রাখতে। তাই জল খেতে ইচ্ছে না করলে গরম স্যুপ, স্টু, ভেষজ চা ইত্যাদি খাওয়া যেতেই পারে। জ্বর কমলে ফলের রস, ওআরএস ইত্যাদি খেয়ে শরীরকে আর্দ্র রাখার চেষ্টা করতে হবে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে
যে কোনও রোগ নিরাময়ের প্রথম ওষুধ হল বিশ্রাম নেওয়া। প্রতি দিন ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। জ্বর না থাকলেও অন্ততপক্ষে এক সপ্তাহ ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। শরীরচর্চা বা যোগব্যায়াম কিছুই করা যাবে না।