মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকলে চিকিৎসা শুরু করতেও খানিক সুবিধা হবে। ছবি-প্রতীকী
ক্রমশই চিন্তা বাড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। এই রোগকে বিশ্ব-বিপর্যয় হিসাবে চিহ্নিত করা হবে কি না, তা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র বিশেষ জরুরি কমিটি এর আগে বেশ কয়েক বার বৈঠকে বসে। কোভিডের ক্ষেত্রে গোটা পৃথিবীতে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। কিন্তু মাঙ্কিপক্সের ক্ষেত্রে ছবিটা কিছুটা আলাদা। আফ্রিকাতে ইতিমধ্যেই মহামারি ঘোষণা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি হিসাবে দেখা হচ্ছে এই সংক্রমণকে। কিন্তু ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও অন্য দেশগুলিতে পরিস্থিতি তেমন গুরুতর নয়।
গোটা বিশ্বে মাঙ্কিপক্স সংক্রমিতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৫ হাজার। সেই তালিকায় বাদ যায়নি ভারতও। কেরল, দিল্লিতে আগেই মিলেছিল মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের খোঁজ। এ বার মাঙ্কিপক্স আতঙ্ক ঢুকে পড়ল রাজস্থানেও। কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন ওই যুবক। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে সারা শরীরে র্যাশ বেরোতে থাকে। তার পরই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ নিয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। কোভিডের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। ধাপে ধাপে দেখা দিতে থাকে এর লক্ষণ। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকলে চিকিৎসা শুরু করতেও খানিক সুবিধা হবে।
১। প্রথম ধাপ: প্রবল জ্বর, ক্লান্তি, শরীরে ব্যথা হবে
২। দ্বিতীয় ধাপ: ত্বকে র্যাশ দেখা যাবে।
৩। তৃতীয় ধাপ: ত্বকের র্যাশ ধীরে ধীরে লাল হয়ে ফোঁড়ার মতো আকার ধারণ করতে থাকে। হাত, পা, মুখ, পায়ের পাতা এবং শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে যেতে শুরু করবে।
মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ঠেকাতে কী করবেন?
লক্ষণ দেখে মাঙ্কিপক্স হয়েছে বলে সন্দেহ হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দু’একটি লক্ষণ প্রকাশ পেলে রোগীকে নিভৃতবাসে থাকতে হবে। অন্যদের সংস্পর্শে কোনও ভাবেই আসা যাবে না।