ছবি: সংগৃহীত।
নিজেকে ফিট রাখতে জিমে না গেলেও অনেকেই বাড়ির কিছু কাজ করেন। ঘর মোছা তার মধ্যে অন্যতম। সক্রিয় থাকতে যে সব সময় শরীরচর্চা করতে হবে, তার কোনও মানে নেই। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা, ঘরের মধ্যে হাঁটাচলা করলেও ফিট থাকা যায়। তবে শরীর সচল রাখতে ঘর মোছার কাজটি সত্যিই অত্যন্ত কার্যকর। ঘর মুছলে শরীর তো ভাল থাকে ঠিক, কিন্তু কাজটি করার সময় কিছু ভুল অজান্তেই হয়ে যায়। যেগুলির হাত ধরে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে। ঘর মোছার সময় কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন?
১) মেঝে মুছতে গেলে জল ব্যবহার তো করতেই হবে। তবে বেশি জল দিয়ে মুছলে বেশি পরিষ্কার হবে, এই ভাবনা ভুল। বরং এতে ক্ষতি হতে পারে। জল বেশি হলে ঘরের মেঝে পিছল হয়ে যায়। অতিরিক্ত জল শুকোতে সময় নেয়। ফলে টাইলসের মেঝে হলে অল্প দিনেই তা ক্ষয়ে যেতে পারে। এমনকি, পিছল মেঝেতে পড়ে গিয়ে আঘাত লাগার আশঙ্কাও রয়েছে।
২) ঝাঁটা দিয়ে মেঝে পরিষ্কার না করাই ভাল। এক, এতে মেঝে অতি অল্প দিনেই ক্ষয়ে যেতে পারে। দুই, দাঁড়িয়ে ঝাঁট দেওয়া যায় না। তাতে ঠিক করে পরিষ্কারও হয় না।অগত্যা উবু হয়ে বসেই ঝাঁট দিতে হয়। বসে বসে ঝাঁট দিলে কোমরে অনেক সময়ে চাপ পড়ে। আচমকা লেগেও যেতে পারে। তাই ঝাঁটার বদলে দাঁড়িয়ে মোছা যায়, এমন কিছু দিয়ে ঘর মুছে নিন।
৩) মেঝে পরিষ্কার রাখতে অনেকেই ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করে থাকেন। এতে কাজটি দ্রুত হয়। তবে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের ব্যবহারের কিছু অসুবিধাও রয়েছে। খুব দ্রুত খারাপ হয়ে যায় এই যন্ত্র। সব সময়ে তা বোঝাও যায় না। তবে ময়লা যদি দু-তিন বারের চেষ্টায় পরিষ্কার হয়, তা হলে বুঝতে হবে, ক্লিনারটি বিগড়েছে। দ্রুত পরিষ্কার করলেও এ দিয়ে কোনায় কোনায় জমে থাকা ময়লা সব সময়ে পরিষ্কার হয় না। আবার যাঁদের ধুলোতে অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁদের এই যন্ত্রের ব্যবহারে সমস্যা বাড়তে পারে।