বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো নিয়ে বাড়িতে দু’বেলা অশান্তি? ছবি: সংগৃহীত।
বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো নিয়ে বাড়িতে দু’বেলা অশান্তি। ভাত, রুটি যদিও বা খাওয়ানো যায়, দুধ সে কিছুতেই খাবে না। অথচ বাচ্চাদের বাড়বৃদ্ধির সময়ে শারীরিক, মানসিক বিকাশের জন্য দুধের মতো পুষ্টিকর পানীয় খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। দুধের মধ্যে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, নানা রকমের ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখা, দাঁত শক্ত করা থেকে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলা— দুধের গুণে সবই সম্ভব। তবে, বেশির ভাগ শিশুই দুধ খেতে খুব একটা পছন্দ করে না। সে ক্ষেত্রে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। হাড় দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। যদিও পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দুধের কোনও বিকল্প হতে পারে না। তবু একান্ত যদি বাচ্চারা দুধ খেতে না চায়, সে ক্ষেত্রে দুগ্ধজাত তিন খাবার খুদেকে খাওয়ানো যেতে পারে।
১) ইয়োগার্ট বা দই:
দুধ না খেলেও নানা রকম ফলের কৃত্রিম ক্বাথ দেওয়া ইয়োগার্ট খেতে কিন্তু খুদেরা ভালই বাসে। চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি ১২-এর মতো প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে ইয়োগার্টে। পাশাপাশি, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত করতেও এই খাবারের ভূমিকা রয়েছে।
২) চিজ়:
পিৎজ়া হোক বা পাস্তা, বাচ্চাদের মধ্যে চিজ় দেওয়া খাবার ভীষণই জনপ্রিয়। দুধ পড়ে থাকলেও দুধ থেকে তৈরি চিজ় কিন্তু একটুও নষ্ট করে না তারা। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, চিজ়ের মধ্যে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, ফসফরাসের মতো উপাদান রয়েছে। যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকলাপ এবং শক্তির জোগান অব্যাহত রাখতে ডায়েটে চিজ় রাখা যেতেই পারে।
পনিরের মুখরোচক কোনও পদ রেঁধে দিতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
৩) পনির:
দুধ থেকে তৈরি ছানা খেতেও খুদেরা ভালবাসে না। কিন্তু সেই ছানার বদলে যদি পনিরের মুখরোচক কোনও পদ রেঁধে দিতে পারেন, কোনও ঝক্কি ছাড়াই তারা খেয়ে নেবে। চিলি চিকেনের বদলে চিলি পনির, পনিরের ভুজিয়া, পনির-পরোটা, পনিরের টিক্কা কিংবা কবাব তৈরি করে দিতে পারলে তো কথাই নেই।