৫৬ বছর বয়সেও মিলিন্দ সোমনের ফিট চেহারার কাছে হার মানবে বহু তরুণ।
২৫ বছর পর আবার গানের ভিডিয়োয় মিলিন্দ সোমন। ছ’ফুট উচ্চতা, কাঁচা-পাকা দাড়ি, সুঠাম চেহারা— ৫৬-তেও এই অভিনেতা-মডেলের থেকে চোখ সরানো ভার । এখনও তাঁকে দেখে দুর্বল বহু নারীহৃদয়। বয়সে ২৫ বছরের ছোট বান্ধবীকে বিয়ে করা হোক বা সমুদ্রের ধারে নগ্ন হয়ে দৌড়ানো— বার বারই তাঁর নানা কীর্তি উঠে এসেছে সংবাদের শিরোনামে। কেবল মহিলা অনুরাগীদের মন কাড়েননি অভিনেতা, পুরুষদের কাছেও মিলিন্দ সোমান এক অনুপ্রেরণা। ৫৬ বছর বয়সেও তাঁর ফিট চেহারার কাছে হার মানবে বহু তরুণ। শারীরিক কসরত ও ডায়েটের কড়াকড়ি— এই দুইয়ের জেরেই এখনও মিলিন্দ এতটা ফিট। সুস্বাস্থ্য পেতে ডায়েটে কী রাখেন মিলিন্দ?
প্রাতরাশ: সকালের খাবারে খুব বেশি ভারী খাবার না-পসন্দ মিলিন্দের। তাঁর প্রাতরাশে থাকে বাদাম, একটি পেঁপে, তরমুজ, কিংবা যে কোনও একটি মরসুমি ফল। সকাল ১০টার মধ্যে সকালের খাওয়া সেরে ফেলেন অভিনেতা।
দুপুরের খাবার: দুপুরে প্রচুর সব্জি দিয়ে তৈরি খিচুড়ি খেতেই পছন্দ করেন অভিনেতা। তবে যে দিন ভাত খান না, সে দিন খাবারে থাকে ছ’টি রুটি সঙ্গে ডাল এবং সব্জি। দুপুর ২টোর মধ্যে দুপুরের খাওয়া সেরে ফেলার চেষ্টা করেন অভিনেতা। মাসে এক-আধবার মুরগির মাংস, ডিম ও পাঁঠার মাংস খান তিনি।
মিলিন্দ সোমন।
সন্ধ্যার জলখাবার: বিকেল ৫টায় গুড় দিয়ে এক কাপ লিকার চায়ে চুমুক দেন মিলিন্দ। সঙ্গে ভাজাভুজি একেবারেই না!
রাতের খাবার: রাতের খাবারে কোনও দিন থাকে অল্প তেলে ভেজে নেওয়া বিভিন্ন সব্জি, কখনও থাকে খিচুড়ি। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যেই রাতের খাবার খেয়ে নেন। তিনি মনে করেন, শরীর ফিট রাখতে এই কাজ ভীষণ জরুরি।
ঘুমানোর আগে: রোজ রাতে নিয়ম করে গরম জলে হলুদ আর গুড় মিশিয়ে খান তিনি।
প্যাকেটজাত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলেন মিলিন্দ। ঠান্ডা জল, বোতলের ঠান্ডা পানীয় একেবারেই খান না তিনি। আর চিনি থেকে দূরে থাকেন অভিনেতা।