জ্বর হলেই ভাইরাল সংক্রমণ ভেবে এড়িয়ে যাবে না। ছবি: সংগৃহীত।
শরীর চাঙ্গা রাখতে বারে বারে চিকিৎসকেরা পরিমাণ মতো জল খাওয়ার পরামর্শ দেন। গরমকাল হোক কিংবা শীতকাল— জলের সঙ্গে কোনও রকম আপস করলেই কিন্তু শরীরে প্রভাব পড়তে শুরু করে। কোনও রকম বিশেষ ক্রনিক অসুখ না থাকলে দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার জল কিন্তু খেতেই হবে। কিডনির যাবতীয় অসুখের সূত্রপাত হয় কিন্তু এই একটা ভুলেই। কিডনিতে সমস্যা হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কিডনি বিকল হয়ে গেলে মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ে। খাওয়াদাওয়ায় ব্যাপক অনিয়ম, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, বিশেষ কিছু সাপ্লিমেন্ট এবং ওষুধের ব্যবহারের কারণে কিডনিতে পাথর জমে। কিডনিতে পাথর জমলে ভয়ের খুব বেশি কারণ না হলেও দ্রুত সেই পাথর শরীর থেকে বার না হলে সমস্যা বাড়তে পারে। এই সমস্যা আপনার মূত্রনালির যে কোনও অংশকে প্রভাবিত করতে পারে। প্রস্রাবের রং হলুদ থেকে লালচে হলে তা কিন্তু কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ। এ রকম সমস্যা হলে আগেভাগেই সতর্ক হতে হবে। আর কী কী লক্ষণ দেখা দিলেই সতর্কতা নিতে হবে?
১) কিডনিতে পাথর জমলে পিঠের দিকে পাঁজরের দু’পাশে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। ব্যথা যদি দীর্ঘ দিন ধরে হয়, তা হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২) ঘন ঘন তলপেটে যন্ত্রণাও কিন্তু কিডনিতে পাথর জমার ইঙ্গিত হতে পারে। দীর্ঘ দিন এই ব্যথা হলে সাধারণ সমস্যা বলে এড়িয়ে যাবেন না।
৩) কিডনিতে পাথর জমলে প্রস্রাবের সময়ে কিংবা প্রস্রাবের পরবর্তী সময়ে জ্বালা অনুভব হয়। প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হলে তা আরও চিন্তার। প্রস্রাবের সময়ে কোনও রকম কষ্ট অনুভব হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
কিডনির অসুখকে অবহেলা করলেই বিপদ। ছবি: সংগৃহীত।
৪) কিছু খেলেই বমি-বমি ভাব, মাথা ঘোরানো— কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ হতে পারে। এই সমস্যা প্রায়ই হলে সতর্ক হোন।
৫) জ্বর হলেই সাধারণ ব্যাক্টেরিয়া কিংবা ভাইরাল সংক্রমণ ভেবে এড়িয়ে যাবে না। কিডনিতে পাথর জমলেও জ্বর হতে পারে। জ্বরের সঙ্গে পেটে তীব্র যন্ত্রণা হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।