Hearing Loss

World Hearing Day: জোরে গান শোনা অভ্যাস? হতে পারে মারাত্মক বিপদ

গান শোনার সময়ে আওয়াজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। খুব জোরে আওয়াজ হচ্ছে এমন কোনও এলাকায় গেলে ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২২ ২০:৪১
Share:

ইয়ারফোন বা হেডফোনের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য কমবয়সিদের শ্রবণক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

পার্টি বা অনুষ্ঠানে প্রায়ই জোরে গান বাজে। আর সেই গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন কিশোর কিশোরীরা। আপনিও কি জোরে গান শোনেন? তা হলে এখনই সাবধান হোন! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মতে, দীর্ঘদিন ধরে খুব জোরে গান শুনলে বা জোরে আওয়াজ হচ্ছে এমন কোনও কিছুর সামনে থাকলে শ্রবণশক্তি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। হু-র মতে এই কারণেই বিশ্বজুড়ে ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সি ১০ লক্ষ মানুযের শ্রবণক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisement

প্রতি বছর ৩ মার্চ ‘বিশ্ব শ্রবণক্ষমতা দিবস’ পালন করা হয়। এই দিনটিতে শ্রবণক্ষমতা নিয়ে নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়। এই বছরের থিম ছিল, ‘টু হিয়ার ফর লাইফ, লিসেন উইথ কেয়ার’।

ইয়ারফোন বা হেডফোনের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য কমবয়সিদের শ্রবণক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। নাইটক্লাব, রেস্তরাঁ, পানশালা বা কনসার্টে অত্যন্ত জোরে গান বাজানো হয়। এই উচ্চ আওয়াজের কারণে শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলতে পারে তারা। তবে সমস্যার কথা শোনালেও ‘হু’-র আশ্বাস, এই সমস্যা রোখা সম্ভব। গান শোনার সময়ে বা ভিডিয়ো গেম খেলার সময়ে আওয়াজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। খুব জোরে আওয়াজ হচ্ছে এমন কোনও এলাকায় গেলে ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

প্রতীকী ছবি

এর সঙ্গেই যে কোনও অনুষ্ঠানে আওয়াজের তীব্রতা বেঁধে দেওয়ার কথা বলেছে ‘হু’। তার জন্য একটি আন্তর্জাতিক মাপকাঠিও বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা। সবচেয়ে বেশি ১০০ ডেসিবল পর্যন্ত যেতে পারে অনুষ্ঠানে আওয়াজের তীব্রতা। অনুষ্ঠানে আওয়াজের তীব্রতায় নজরদারি রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

‘হু’-র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ডক্টর রেন মিংঘুইয়ের মতে, এই উদ্যোগে পাশে থাকতে হবে সরকার, নাগরিক সমাজকেও। যাঁরা অডিয়ো ডিভাইস বানান, ভিডিয়ো গেমের যন্ত্র তৈরি করেন, তাঁদেরও আরও বেশি করে সচেতন হতে হবে।

হেডফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদেরও বেশ সতর্ক থাকতে হবে।

১) প্রয়োজন ছাড়া হেডফোন নয়, এই কথা মাথায় রাখুন। অনেকেই সারাদিন কানে হেডফোন গুঁজে রাখেন। এর থেকে শ্রবণেন্দ্রিয়ের ক্ষতি হয়।

২) গান শুনলে কিংবা হেডফোনে কথা বলার সময়ে প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর কান থেকে খুলে বিশ্রাম নিন।

৩) হেডফোন ব্যবহারের সময়ে আওয়াজ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement