হৃদ্রোগের সমস্যা রয়েছে অনেকেরই। ছবি-সংগৃহীত
সকালে উঠে চায়ের কাপে চুমুক না দিলে, দিন যেন শুরুই হতে চায় না বাঙালির। তবে চা খাওয়া নিয়ে নানা জনের নানা মত থাকে। কেউ দুধ চা খেতে ভালবাসেন, কেউ আবার হালকা লাল চা। দুধ চা না কি লিকার চা— কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে দ্বন্দ্ব একটা চলতেই থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাল চা কিন্তু বেশি উপকারী। সকালটা যদি এক কাপ লিকার চা খেয়ে শুরু করতে পারেন, তার চেয়ে ভাল অভ্যাস আর কিছু হয় না। নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট-সমৃদ্ধ এই পানীয় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এই চায়ে ফ্ল্যাভোনয়েডস, ফাইটোকেমিক্যাল, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে, যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সক্ষম।
লিকার চায়ে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস হৃদ্রোগ দূরে রাখতে সাহায্য করে। ছবি-সংগৃহীত
বর্ষায় গলাব্যথা, সর্দি-কাশি, জ্বরের সমস্যা লেগেই থাকে। লাল চায়ের সঙ্গে একটু আদা মিশিয়ে খেলে নিমেষে মিলবে উপকার। শরীর চনমনে করে তুলতেও লাল চা বেশ উপকারী। এই চা খেলে গ্যাস-অম্বল হওয়ারও ভয় নেই। দুধ চায়ের ক্ষেত্রে তেমন একটি আশঙ্কা থেকেই যায়। তা ছাড়াও লাল চায়ে রয়েছে হাজার গুণাগুণ। গবেষণা বলছে, লাল চা যত্ন নেয় হৃদ্যন্ত্রেরও। হৃদ্রোগের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, লাল চা খেলে কিছুটা হলেও মিলতে পারে উপকার। লিকার চায়ে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস হৃদ্রোগ দূরে রাখতে সাহায্য করে।
শুধু কি হৃদ্রোগ? ডায়াবিটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও লাল চা উপকারী। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ রক্তে শর্করার পরিমাণ হ্রাস করে।