পরিবারের কারও অর্শ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ছবি: প্রতীকী
অর্শের ডাক্তারি নাম ‘হেমারয়েড’। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ, সকলেরই হতে পারে এই সমস্যা। তবে পরিবারের কারও অর্শ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলেও বাড়ে সমস্যা। কিছু ক্ষেত্রে হবু মায়েদের নানা শারীরিক বদলের সময় অর্শের ঝুঁকি বাড়ে। শুরুতে সতর্ক হলে রোগ বাড়তে পারে না। কিন্তু বিষয়টি এমনই যে, বহু ক্ষেত্রেই সঙ্কোচবশত অসুখ গোপন করেন রোগী। রোগ বেড়ে গেলে অস্ত্রোপচার করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। কিন্তু অল্প থাকলে, জীবনযাপনে বদল আনলেই প্রতিরোধ করা যায় রোগটি।
কোন কোন ক্ষেত্রে বদল আনবেন?
খাওয়াদাওয়া
রোজকার ডায়েটে রাখুন বিভিন্ন রকমের শাক-সব্জি। সব্জি মানে কিন্তু কেবল আলু-পেঁয়াজ নয়। মরসুমি সব্জি খেতে হবে নিয়ম করে। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে খুবই উপযোগী ঢ্যাঁড়শ। পাশাপাশি, ফাইবার বেশি আছে এমন খাবারও খেতে হবে নিয়মিত। পালং শাক, নটে শাক থাকুক মধ্যাহ্ন ভোজনে। যে সব সব্জি খোসাসমেত খাওয়া যায়, সেগুলি বেশি করে খান।
শরীরচর্চা করুন নিয়ম করে
এক জায়গায় বসে থেকে একটানা কাজ করলে অর্শের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই এ দিক-ও দিক চলাফেরা করা বা কায়িক পরিশ্রম করা জরুরি। খাবার খাওয়ার পর রোজ নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটুন। লিফ্টে বেশি না চড়ে চেষ্টা করুন সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করার। দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা শরীরচর্চা করা চাই-ই চাই। খেলাধুলোও করতে পারেন নিয়ম করে।
এক জায়গায় বসে থেকে একটানা কাজ করলে অর্শের সমস্যা বেড়ে যায়। ছবি: প্রতীকী
মাছ-মাংসে লাগাম
খাদ্যতালিকায় প্রায়শই খাসি কিংবা মুরগি থাকে? তা হলে সমস্যা তো বাড়বেই। মাংসে ভরপুর প্রোটিন থাকলেও ফাইবার থাকে কম। আর ফাইবার কম থাকলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে। প্রোটিন হিসাবে ডিম খেতে পারেন। মাছও খাওয়া যায় অনায়াসে।
পর্যাপ্ত জল খান
জল কম খেলে মলত্যাগের সময়ে সমস্যা বেশি হয়। জলশূন্যতা বা ডিইাইড্রেশনের সমস্যা থাকলে অর্শ কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য আরও বাড়বে। দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার জল খাওয়া চাই-ই চাই।
মল নরম করার খাবার
অর্শ কমাতে রোজ পেট পরিষ্কার করতে হবে। সেই কাজে সাহায্য করতে পারে ইসবগুল। অনেকেই রাতে শুতে যাওয়ার আগে জলে গুলে খেয়ে নেন এই খাবার। সকালে পেট পরিষ্কার হয়ে যায়। ইসবগুল খাওয়ার জন্য সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে না। তবে ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসক দেখিয়ে নিতে পারেন।