সকালের দিকে পুরুষের টেস্টোস্টেরন থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ছবি: শাটারস্টক।
মেয়েদের যেমন হরমোন জনিত নানা বদল ঘটে প্রায় এক মাস ধরে, ঠিক তেমনই হরমোনজনিত বদলের মধ্যে দিয়ে যান পুরুষেরাও। তবে মহিলাদের মতো এক মাস নয়, পুরুষদের হরমোন চক্র শুরু হয়ে ফের শেষ হয় ২৪ ঘণ্টায়। মেয়েদের মতো জটিল চক্র না হলেও পুরুষেরও হরমোনজনিত বদলের কারণে মেজাজ বদলায়। অথচ মেয়েদের হরমোনজনিত বদল নিয়ে যত আলোচনা হয়, পুরুষদের ক্ষেত্রে তা হয় না। মনস্তত্ত্ববিদেরা অবশ্য বলছেন, যে কোনও সম্পর্কে এক জন পুরুষ এবং মহিলার পরস্পরের হরমোন জনিত বদলের ব্যাপারে জানা থাকলে, তা তাঁদের সম্পর্ককে ভাল রাখতে সাহায্য করবে। কারণ একে অপরের মেজাজ বুঝে কাজ করতে পারবেন তাঁরা।
কী ভাবে হরমোনজনিত বদল ঘটে পুরুষের?
মনোবিদ চিকিৎসক নীরজা আগরওয়াল বলছেন, ‘‘পুরুষের ২৪ ঘণ্টার হরমোন-চক্রে সকালের দিকে টেস্টোস্টেরন থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তার পর দিন যত গড়াতে থাকে, ততই তা কমতে থাকে।’’
নারী বনাম পুরুষের হরমোন-চক্র
মেয়েদের হরমোন-চক্র সাধারণত চলে ২৮ দিন ধরে। মূলত ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনেরই আধিপত্য চলে এই চক্রে। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে হরমোন জনিত বদল হয় অত্যন্ত ধীরে। উল্টো দিকে পুরুষের হরমোনজনিত বদলের প্রভাব তৎক্ষণাৎ দেখা যায়। তার প্রভাব পড়ে তাঁদের প্রতিদিনের আচরণেও।
এক জন পুরুষ যখন ঘুম থেকে ওঠেন, তখন সবথেকে বেশি তরতাজা বোধ করেন। ছবি: সংগৃহীত
কী ভাবে বদলায় মেজাজ
এক জন পুরুষ যখন ঘুম থেকে ওঠেন, তখন সবচেয়ে বেশি তরতাজা বোধ করেন। সকালে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা যখন বেশি থাকে, তখন এক জন পুরুষের চনমনে ভাব, আত্মবিশ্বাস এমনকি, যৌন আকাঙ্ক্ষাও থাকে বেশি। টেস্টোস্টেরন কমতে থাকলে দিনের দ্বিতীয় ভাগে ধীরে ধীরে মেজাজ এবং চনমনে ভাব কমতে থাকে। সন্ধ্যার পরে তা ধীরে ধীরে ক্লান্তি বোধ এমনকি, বিরক্তিও আনতে পারে।
মনোবিদেরা কী বলছেন?
মনোবিদ সৃষ্টি বৎস্য বলছেন, ‘‘পুরুষের হরমোন জনিত বদলের কথা মাথায় রেখে দম্পতি তাঁদের সারা দিনের কাজের পরিকল্পনা করতে পারেন। যেমন বেশি এনার্জি প্রয়োজন, এমন কাজ অথবা যেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা, যোগব্যায়াম ইত্যাদি করতে পারেন। দিনের শেষের দিকে রাখুন হালকা কাজ বা এমন কিছু, যা আপনাদের স্বস্তি ও আরাম দেবে।’’