বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে হেঁশেলের কোন উপাদান? ছবি: শাটারস্টক।
অনেকের কাছেই শীতকাল বেশ প্রিয়। কারণ, এই মরসুমে মন খুলে খাওয়াদাওয়া করা যায়। শীতকালে মিষ্টির ক্ষেত্রেও থাকে রকমারি বাহার। মিষ্টিতে এই সময় গুড়ের ব্যবহার তার স্বাদ বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। গুড়ের পায়েস, পুলিপিঠে খাওয়ার মরসুম যে শীতকাল! অনেকে রান্নাতেও চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করেন। পুষ্টিবিদেরা বলেন, শুধু স্বাদের জন্য নয়, শরীর ভাল রাখতে শীতের শুরু থেকেই পরিমিত মাত্রায় গুড় খেলে শরীরে বিভিন্ন উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয়। জেনে নিন শীতকালে কেন গুড় খাওয়া জরুরি।
১) খনিজে ভরপুর: গুড়ের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান। শারীরবৃত্তীয় বিভিন্ন কাজের জন্য এই খনিজগুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। দেহের পেশি মজবুত রাখতেও সাহায্য করে গুড়।
২) প্রতিরোধশক্তি বাড়ে: শীত পড়তেই ঘরে ঘরে সর্দিকাশি লেগেই থাকে। এই মরসুমে গুড় খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং বিভিন্ন খনিজের গুণে ভরপুর গুড় নিয়মিত খেলে সাধারণ ঠান্ডা লাগা, সর্দিকাশির সমস্যা রুখে দেওয়া যায় সহজেই।
শীতকালে গুড় খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ছবি:শাটারস্টক।
৩) হজমশক্তি বাড়ে: অনেকেই বলেন, গুড় খেলে নাকি পেটের সমস্যা হয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অনেকটা পরিমাণে গুড় খেলে শরীর খারাপ হতেই পারে। তবে অল্প মাত্রায় গুড় খেলে খাবার হজমে সহায়তা করে। শীতকালে পার্টি, পিকনিক লেগেই থাকে, তাই পেটের সমস্যা রুখতে গুড় খেতেই পারেন।
৪) গাঁটের ব্যথা কমায়: শীত পড়তেই গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে। যাঁদের বাতের সমস্যা রয়েছে তাঁরা শীতকালে যথেষ্ট কষ্ট পান। এই সময় গুড় খেলে কিন্তু বাতের যন্ত্রণা থেকেও রেহাই পেতে পারেন।
৫) শরীর উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে: আয়ুর্বেদ বলছে, শীতকালে গুড় খেতে বলার কারণ গুড় খেলে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ঠান্ডায় গা গরম রাখতে সাহায্য করে গুড়।