— প্রতীকী চিত্র।
খিচুড়ির সঙ্গে বেগুন ভাজা, রুটি বা পরোটার সঙ্গে বেগুন ভর্তা। খেতে তো ভালই লাগে। যদিও পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং অন্যান্য নানা বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগে ভরপুর এই সব্জি রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখা থেকে ফ্রি র্যাডিকালের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করা— সবই করতে পারে বেগুন। তা সত্ত্বেও কিন্তু অ্যালার্জির ভয়ে অনেকেই বেগুন খেতে পারেন না। সামান্য একটু বেগুন খেলেই গলা চুলকাতে শুরু করে। অনেকেরই শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফুলে যায়। শ্বাসরোধ হয়ে আসার মতো সমস্যাও দেখা যায় অনেকের।
বেগুন থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে কি না, বুঝবেন কী করে?
খাবার থেকে অ্যালার্জি হলে সাধারণত যা যা হতে পারে, বেগুন খেলেও তা-ই হয়। ত্বকে র্যাশ বেরোনো, গলার ভিতর এবং বাইরে অস্বস্তি হওয়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুলে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়। কারও কারও অ্যালার্জির পরিমাণ এতটাই বেড়ে যায় যে, শ্বাসনালি ফুলে গিয়ে শ্বাসরোধ হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে এই অ্যালার্জি কিন্তু প্রাণের ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
— প্রতীকী চিত্র।
বেগুন খেলে কাদের অ্যালার্জি হতে পারে?
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের টোম্যাটো, আলু এবং বেল পেপারের মতো সব্জি খেলে অ্যালার্জি হয়, তাঁদের বেগুন খেলেও সেই একই রকম সমস্যা হতে পারে। এই ধরনের সব্জিতে ‘স্যালিসাইলেট’ নামক এক ধরনের রাসায়নিক থাকে। যা শরীরে বিষের মতো কাজ করে। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে ‘স্যালিলাইলেট টক্সিসিটি’ বলা হয়।
বেগুন খেয়ে অ্যালার্জি হলে কী করবেন?
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ‘অ্যান্টিহিস্টামিন’ জাতীয় ওষুধ খাওয়াই ভাল। তবে তার মাত্রা কেমন হবে, তা নিজে থেকে ঠিক করে নেওয়া উচিত হবে না।