চিনে ফের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, শিশুদের বাঁচাবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে এখনও পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারেনি চিন। এরই মধ্যেই আবার নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল সে দেশে। ‘রহস্যময়’ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে চিনের স্কুলপড়ুয়ারা। বেজিংয়ের হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে শিশুদের ভিড়। এমন পরিস্থিতিতে সে দেশের অনেক স্কুলে পঠনপাঠন আপাতত বন্ধ। বেশ কয়েকটি স্কুলে পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষকেরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
শীতকালে জীবাণুর দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি হয় বলে এই সময়ে নিউমোনিয়ার প্রকোপে বেশি মানুষ আক্রান্ত হন। নিউমোনিয়া মূলত তিন ধরনের। কমিউনিটি অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া (ক্যাপ), হসপিটাল অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া (হ্যাপ) আর ভেন্টিলেটর অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া (ভ্যাপ)। এর মধ্যে হ্যাপ এবং ভ্যাপে আক্রান্ত হওয়া মানুষের শরীরের দ্রুত অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে চিনে কোন ধরনের নিউমোনিয়া ছড়াচ্ছে, সে বিষয়ে এখনও কোনও সঠিক রিপোর্ট সরকারি তরফে আসেনি।
শিশুদের কোন লক্ষণ দেখে সতর্ক হবেন?
নিউমোনিয়ার প্রধান লক্ষণ অস্বাভাবিক জ্বর। তাই শিশুর জ্বর যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং কিছুতেই না কমে, তখন অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে কাশিও হতে থাকবে এবং বুকে ব্যথাও হবে। নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টও হয়। কখনও এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। জ্বর আর কাশি না কমলে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বুকের এক্স-রে করে নিতে হবে। একসঙ্গেই জ্বরের মাত্রা না কমলেও শিশুকে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানো শ্রেয়। শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এই অসুখের জীবাণু শরীরের মধ্যে দ্রুত ছড়াতে থাকে। তাই শিশু অন্য কোনও রোগে ভুগলে এ ধরনের লক্ষণ দেখলেই আগেভাগে সতর্ক হওয়া জরুরি।
অল্প শীতেও শিশুদের গরম জামাকাপড় পরিয়ে রাখুন। ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে সাবধান হবেন?
অল্প শীতেও শিশুদের গরম জামাকাপড় পরিয়ে রাখুন। রাতের দিকে রাস্তায় বেরোতে হলে শিশুদের কানঢাকা টুপি পরতে হবে। নিউমোনিয়ার টিকা দেওয়া আছে কি না, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখুন। না হলে সবার আগে টিকাকরণ জরুরি। পাশাপাশি, ‘ভিটামিন সি’-ও নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে। রোজ সাইট্রাস ফল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে, রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করা সহজ হয়।