এই সময় শারীরিক কিছু উপসর্গ এড়াতে কয়েকটি খাবার এড়িয়ে চলা ভাল। ছবি-সংগৃহীত
মাসের কয়েকটি দিন অস্বস্তিতে কাটে মেয়েদের। ঋতুস্রাবকালে অতিরিক্ত ধকল পড়ে শরীরে। পেশির টান, পেটে ব্যথার মতো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় নারীদের। এই সময় শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। নয়তো আরও দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এই সময় চিকিৎসকরা পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খাওয়ার কথা বলেন। বিশেষ করে আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ শরীরে রক্তের ঘাটতি মেটাতে আয়রন আছে, এমন খাবার বেশি করে খাওয়া জরুরি। তবে এই সময় শারীরিক কিছু উপসর্গ এড়াতে কয়েকটি খাবার এড়িয়ে চলা ভাল।
ঋতুস্রাবকালে শরীর সুস্থ রাখতে কোন খাবারগুলি খাবেন না?
১) চিনি দেওয়া খাবার
ঋতুস্রাব চলাকালীন চিনি জাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া ঠিক নয়। এই সময় বেশি মিষ্টি খেলে শরীরে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি পেটে ব্যথা, পেশিতে যন্ত্রণার মতো সমস্যাও বড় আকার নিতে পারে।
২) আটা-ময়দা জাতীয় খাবার
রুটি, লুচি, পরোটা, পাউরুটি— আটা-ময়দা দিয়ে তৈরি এই ধরনের খাবারেও শর্করা লুকিয়ে থাকে। ফলে ঋতুস্রাবের সময়ে এমন খাবার নৈব নৈব চ।
৩) ভাজাভুজি
চপ, সিঙারা, কাটলেটের মতো ডোবা তেলে ভাজা মুখরোচক খাবারগুলি ঋতুস্রাব চলাকালীন না খাওয়াই ভাল। এই খাবারগুলি খেলে বদহজম, পেটের গন্ডগোলের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪) ঠান্ডা পানীয়
ঋতুস্রাবের সময়ে কোল্ডড্রিঙ্ক একেবারেই খাবেন না। এই ধরনের পানীয় খেলে রক্ত পুরোপুরি শরীরের বাইরে বেরোতে পারে না। রক্ত শরীরের অন্দরে জমে থাকলে পরবর্তী কালে ক্যানসারের মতো মারণরোগ দেখা দিতে পারে।
৫) চা-কফি
ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই এই সময় বার বার চা-কফি খেতে থাকেন। এতে সাময়িক ভাবে স্বস্তি পেলেও চিকিৎসকরা বলছেন, এই অভ্যাস ঠিক নয়। এতে শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ কিছুটা হলেও হ্রাস পায়।