Exercise that slows down aging

বিশেষ ধরনের শরীরচর্চায় পিছিয়ে যাবে বার্ধক্য! রোজ ৩০ মিনিট করে ৫ দিন করতে হবে

বার্ধক্য পিছিয়ে যেতে পারে কম করেও ৯ বছর। রোজ করতে হবে শরীরচর্চা। কী ভাবে তা সম্ভব, ব্যাখ্যা করলেন আমেরিকার গবেষকেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৩৬
Share:

কী ভাবে শরীরচর্চা করলে যৌবন ধরে রাখা যাবে? প্রতীকী ছবি।

শরীরচর্চা করলে যে কেবল মেদ ঝরে তা নয়, বরং দেহকোষের ক্ষতও মেরামত হয়। শরীরের কোষগুলির ক্ষয় বয়সের সঙ্গে সঙ্গে একই হারে হয় না। কারও ক্ষেত্রে তা হয় দ্রুত হারে। কারও ক্ষেত্রে তা কম। এখানেই বছরের হিসাবে মানুষের বয়সের সঙ্গে তার দেহকোষের আয়ুর (‘বায়োলজিক্যাল এজ’) তফাতটা হয়ে যায়। মানব দেহকোষের সেই ক্ষয়ের প্রক্রিয়া যদি বিলম্বিত করা যায়, তা হলেই বার্ধক্য পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব। কী ভাবে তা হবে, সে নিয়ে বিশ্ব জুড়েই গবেষণা চলছে। আমেরিকার ব্রিগাম ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা দাবি করেছেন, রোজ যদি ৩০ মিনিট করে দৌড়নো যায়, তা হলে দেহকোষের ক্ষয়ের ওই প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব।

Advertisement

নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে বা দৌড়লে শরীরে রক্ত চলাচল ভাল হয়। ওজন কমানোর জন্য তো বটেই, শরীর সুস্থ রাখতে রোজ অন্তত কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করতে বা দৌড়তে বলেন চিকিৎসকেরা। আমেরিকার গবেষকেরা দাবি করেছেন, রোজ যদি ৩০ মিনিট করে ৫ দিন কেউ জগিং করেন, তা হলে তাঁর শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি অনেক বেড়ে যাবে। সংক্রামক অসুখবিসুখের ঝুঁকি কমবে। আরও একটি লাভ হল, এতে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। ফলে ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।

বার্ধক্য কী ভাবে পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব?

Advertisement

মানুষের শরীরে প্রতি দশ বছর অন্তর হার্ট, লিভার, কিডনি, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ৫-১০ শতাংশ হারে কমতে থাকে। সাধারণত ৩০ বছরের পর থেকেই এই ক্ষয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাই দেখা যায়, ৫০ বছরে গিয়ে হয়তো শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির ক্ষমতা প্রায় ২০ শতাংশ কমে গিয়েছে। ৮০ বছরে গিয়ে তাই ৫০ শতাংশ বা তার বেশি কমে যাবে। এর কারণ হল, কোষের ক্ষয় ক্রমাগতই হয়ে চলেছে।

কোষের মূল জিনগত উপাদান হল ক্রোমোজোম। দেখতে ‘এক্স’-অক্ষরের মতো। এর দু'টি বাহু, ছোটটির শেষ প্রান্তকে বলে টেলোমিয়ার। ক্ষয়টা হয় এখানেই। কোষ কত বার বিভাজিত হবে, তার হিসাব আছে। যখন বিভাজন প্রক্রিয়া একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে, তখনই কোষের মৃত্যু হবে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এই প্রক্রিয়াই বিলম্বিত হবে অর্থাৎ টেলোমিয়ারের ক্ষয় পিছিয়ে যাবে। ফলে কোষের মৃত্যু হবে না। শরীরের ক্ষয়ও হবে না। সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ একই রকম কার্যক্ষম থাকবে বছরের পর বছর। একে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘টেলোমিয়ার প্রিজ়ারভেশন’। সপ্তাহে ৫ দিন যদি ৩০ মিনিটও কেউ নিয়ম মেনে দৌড়ন, তা হলে তিনি যৌবন ধরে রাখতে পারবেন দীর্ঘ সময় ধরেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement