আপনার বাড়ির রক্তচাপ মাপার যন্ত্রটি সঠিক তো? ছবি: ফ্রিপিক।
আপনার কি রক্তচাপ বেশি? না কি তা ওঠানামা করে? অতি উচ্চ রক্তচাপের কারণে আপনি এবং আপনার আপনজনেরা নিশ্চয়ই সর্ব ক্ষণ তটস্থ থাকেন। আর বারে বারে বাইরে গিয়ে রক্তচাপ পরিমাপ করে আসা বেশ ঝক্কির। বিশেষ করে যদি বাড়িতে বয়স্ক কেউ থাকেন যাঁর রক্তচাপ সময়ান্তরে পরিমাপ করতে হয়, তা হলে রক্তচাপ মাপার যন্ত্র কিনে রাখাই ভাল। ডিজিটাল যন্ত্রটি ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারলে সঠিক ফলাফলই দেখাবে। তবে ভুল ভাবে ব্যবহার করলে রিডিং এ দিক-ও দিক হয়ে যেতে পারে। আপনার বাড়ির যন্ত্রটি ঠিক মতো কাজ করছে কি না, তা বুঝবেন কী ভাবে?
রক্তচাপ মাপার যন্ত্রটি সঠিক ফল দিচ্ছে কি?
১) খাওয়ার অব্যবহিত পরেই নয়, আবার একদম খালি পেটেও রক্তচাপ মাপা যাবে না। ভারী খাবার খাওয়ার ১-২ ঘণ্টা পরেই রক্তচাপ মাপতে হবে। এর আগে যদি মাপেন, তা হলে যন্ত্র সঠিক ফল দেখাবে না। আর রক্তচাপ মাপার সময়ে বেশি নড়াচড়া করলে যন্ত্র ঠিক মতো কাজ করবে না।
২) রক্তচাপ মাপার কাফ সঠিক ভাবে বাঁধতে হবে। রক্তচাপ মাপার কাফ সঠিক ভাবে বাঁধতে হবে। কাফ এমন ভাবে বাঁধতে হবে, যাতে বেশি আলগাও না হয়, আবার খুব এঁটেও না বসে। দেখে নিতে হবে, বাঁধার পরে তাতে যেন একটি আঙুল ঢোকানোর মতো জায়গা থাকে। সাধারণত বাহুতে বাঁধার কাফ-ওয়ালা যন্ত্র অনেক নির্ভুল তথ্য দেয়। কাফটি যত চওড়া হবে, তত ভাল। তাতে নির্ভুল তথ্য পাওয়া যাবে।
৩) রক্তচাপ মাপার সময়ে বেশি কথা বলবেন না। চুপ করে থাকতে পারলে আরও ভাল। মলমূত্রের বেগ চেপে রক্তচাপ মাপা ঠিক নয়। মূত্রথলিতে চাপ পড়লে মাপ সঠিক আসবে না।
৪) ডিজিটাল যন্ত্রটিতে একটি সেন্সর থাকে। যন্ত্রের কাফ বা বেল্ট যখন বাহুতে বাঁধা হয়, তখন ধমনীর কম্পন ধরা পড়ে ওই সেন্সরে। এই কম্পনের চাপটাই পর্দায় দেখা যায়। এর মাধ্যমে ধমনীতে রক্তের চাপ যেমন নির্ণয় করা যায়, তেমনই মাপা যায় ধমনীর স্পন্দনের গতিও। অর্থাৎ, রক্তচাপের পাশাপাশি হৃৎস্পন্দন বা পাল্সও মাপা যায় যন্ত্রে। তাই পরিমাপ সঠিক দেখাচ্ছে কি না, তা বুঝতে চিকিৎসক বা পেশাদার কারও কাছে গিয়ে রক্তচাপ মাপার পুরনো ম্যানুয়াল যন্ত্রে রক্তচাপ মাপিয়ে নিন। এ বার ডিজিটাল যন্ত্রে একই সময়ে রক্তচাপ মাপুন। যদি পরিমাপ একই দেখায় বা সামান্য হেরফের হয়,তা হলে বুঝতে হবে, যন্ত্রটি মোটামুটি ঠিকঠাক কাজ করছে।
৫) ডিজিটাল যন্ত্র কেনার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হৃৎপিণ্ডের গতি অনিয়মিত থাকলে অথবা রক্তনালিতে চর্বি জমে গিয়ে থাকলে, অথবা বয়সজনিত রোগ থাকলে ডিজিটাল যন্ত্রের রিডিং সব সময়ে সঠিক না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পেশাদার কাউকে দিয়ে যন্ত্রটি পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।