জ্বর মাপতে ইনফ্রারেড থার্মোমিটার সাধারণ থার্মোমিটারের সমান কার্যকর। ছবি: পিটিআই
শপিং মল থেকে হাসপাতাল, এমনকি অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি নানা সংস্থার অফিসে ঢুকতে গেলেই উষ্ণতা পরিমাপ কার্যত বাধ্যতামূলক। কিন্তু কোভিড নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কি আদৌ কাজে আসে এই পদ্ধতি কারণ কোভিডের অন্যতম একটি উপসর্গ জ্বর এ কথা যেমন সত্যি তেমনই এ কথাও সত্যি যে জ্বর ছাড়াও নাক থেকে জল পড়া, মাথাধরা, ক্লান্তি বা গলা ব্যথার মতো আরও নানা ধরনের উপসর্গ কোভিডের ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া যায়।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বর মাপতে ইনফ্রারেড থার্মোমিটার সাধারণ থার্মোমিটারের সমান কার্যকর। কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেই যে এই ধরনের পরীক্ষায় ভুল হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। বিশেষত উপসর্গহীন রোগীদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি একেবারেই কার্যকর নয়। কোভিডের প্রথম স্ফীতিতে প্রায় ৫০% ক্ষেত্রে রোগীদের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে জ্বরের লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল এবং তার উপর ভিত্তি করেই বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের উষ্ণতা মাপার পদ্ধতিটি চালু হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এই পদ্ধতি সুরক্ষার একটি ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করতে পারে। কারণ যে রোগীদের জ্বরের উপসর্গ নেই তাঁরা এই পদ্ধতিতে ধরা পড়বেন না, কিন্তু ধরা না পড়লেও তাঁরা সংক্রমণ ছড়াতে সমান ভাবে সক্ষম
বিশেষত ওমিক্রনের ক্ষেত্রে আরও কঠিন এই পদ্ধতিতে কোভিড আক্রান্ত রোগীকে চিহ্নিত করা। কারণ কোভিডের এই রূপটির প্রাথমিক লক্ষণ আগের রূপগুলির থেকে আলাদা। এক্ষেত্রে নাক থেকে জল পড়া, গলা ব্যথা কিংবা মাথা যন্ত্রণার সমস্যা অনেক বেশি প্রকট। কাজেই ইনফ্রারেড থার্মোমিটারে উষ্ণতা মাপার পদ্ধতি কিছু ক্ষেত্রে কাজ করলেও একশো শতাংশ নিখুঁত নয়। তাই কর্মক্ষেত্রই হোক বা বাজার ঘাট, সর্ব ক্ষণ কোভিড বিধি মেনে চলা ছাড়া উপায় নেই। ভিড় এড়িয়ে চলুন, মাস্ক পরুন, নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করুন হাত।