আইসিএমআর’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের প্রধান উপসর্গ গলা ব্যথা।
সম্প্রতি দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমলেও সংখ্যাটা এখনও শূন্য হয়নি। সংক্রমণের আশঙ্কা এখনও কমেনি। যদিও প্রথম ও দ্বিতীয় স্ফীতির তুলনায় করোনার চলতি স্ফীতি তুলনামূলক ভাবে কম সক্রিয়, তবু করোনার নয়া রূপ ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত।
‘আইসিএমআর’-এর বুলেটিন অনুযায়ী সাম্প্রতিকতম স্ফীতিতে প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি কমবয়সিরাও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। ১৮ বছর বয়স থেকে প্রায় সকলেই করোনা টিকা প্রাপ্ত হওয়ায় এই স্ফীতিতে উপসর্গের সক্রিয়তা অনেক কম ছিল। তবু যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষের কো-মর্বিডিটি ছিল।
প্রতীকী ছবি।
আইসিএমআর’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের প্রধান উপসর্গ গলা ব্যথা। পূর্বের করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণত শ্বাসযন্ত্রের উপর বেশি প্রভাব পড়েছিল। তবে চলতি স্ফীতিতে শ্বাসযন্ত্র ছাড়াও ফুসফুস প্রভাবিত হয়েছে। ডেল্টার তুলনায় কোভিডের নয়া রূপ ওমিক্রন অপেক্ষাকৃত কম সক্রিয় হলেও শ্বাসযন্ত্র এবং ফুসফুস— এই দুই জায়গাতেই থাবা বসাচ্ছে। বিশেষ করে গলা ব্যথার মতো সমস্যা বেশি করে দেখা দিচ্ছে। এ ছাড়াও মূত্রাশয়ের সংক্রমণ, বা শ্বাসযন্ত্রের তীব্র কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। যাকে ইংরেজিতে ‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস’ বা সংক্ষেপে ‘এআরডিস’ বলে। গলা ব্যথা বা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা ছাড়াও জ্বর, সর্দি-কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া, মতো উপসর্গও দেখা গিয়েছে এবং এখনও যাচ্ছে।
এই উপসর্গগুলির কোনও একটি বা দু’টি যদি দিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে দ্রুত র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াটা বাধ্যতামূলক। উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও ফলাফল ‘নেগেটিভ’ এলে দ্বিতীয় বার একটি আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। পরীক্ষা করানো এবং ফলাফল আসার মধ্যবর্তী সময়ে নিজেকে নিভৃতবাসে রাখাটাও বাঞ্ছনীয়।