— প্রতীকী চিত্র।
প্রতি দিন বিকেলে ২০টি করে দড়িলাফ। স্কুল থেকে ফিরে এই ছিল নিত্যদিনের রুটিন। তখন অবশ্য কারণটা অন্য ছিল। গুরুজনেরা বলতেন, লম্বা হওয়ার একমাত্র উপায় নাকি দড়িলাফ। তবে এখন শরীরচর্চার সংজ্ঞাটাই পুরো বদলে গিয়েছে। যেমন বদলে গিয়েছে তার ধারা এবং মাধ্যমও। দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে ডায়েটের পাশাপাশি শরীরচর্চারও প্রয়োজন রয়েছে। তবে শরীরচর্চার তো বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, শুধু শিশু ও কমবয়সিদের জন্য নয়, শরীরের সার্বিক উন্নতির জন্য দড়িলাফ সর্বশ্রেষ্ঠ। জিমের মতো খরচ বা কায়িক পরিশ্রম ছাড়াই দেহের মেদ ঝরাতে অভ্যাস করা যেতে পারে দড়িলাফ।
১) পেশি মজবুত করে
একটানা লাফাতে গেলে যথেষ্ট পরিমাণে শক্তি প্রয়োজন হয়। যা অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। ক্রমাগত লাফানো এবং হাতের ব্যায়ামের ফলে পা এবং হাতের পেশি মজবুত করতেও সাহায্য করে।
২) কার্ডিয়োর বিকল্প
গোটা দেহের ব্যায়াম যাতে হয়, তার জন্য অনেকেই ‘কার্ডিয়ো’ অভ্যাস করেন। দড়িলাফের অভ্যাস করলে এই কার্ডিয়ো আরও উন্নত হয়। পাশাপাশি, শ্বাসযন্ত্রের উন্নতি এবং দেহে রক্ত এবং অক্সিজেনের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এই ব্যায়াম অভ্যাস করা যেতেই পারে।
৩) দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে
লাফানোর ফলে দেহের ভারসাম্য রক্ষা হয়। পাশাপাশি, হাত-পায়ের পেশি মজবুত হয়। দু’-এক দিন অভ্যাস করলেই যে দেহের ভারসাম্য রক্ষা করা যাবে, এমনটা কিন্তু নয়। ধীরে ধীরে দ্রুত গতিতে দড়িলাফ অভ্যাস করতে শুরু করলে সুফল বুঝতে পারবেন।
৪) ওজন কমাতে সাহায্য করে
দড়িলাফের ফলে যে পরিমাণ ক্যালোরি পোড়ানো সম্ভব, তা অন্য কোনও মাধ্যমেই সম্ভব নয়। তার উপর যদি পা-হাতের এবং কাঁধের পেশির গঠন মজবুত করতে চান, সে ক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যায়াম ছেড়ে দড়িলাফের উপর ভরসা করতেই পারেন।
৫) মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে
যে কোনও ধরনের ব্যায়ামই মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। তবে দড়িলাফ অভ্যাস করলে হরমোনের উপর খুব তা়ড়াতাড়ি প্রভাব পড়ে। নিয়মিত এই ব্যায়াম অভ্যাস করলে আনন্দের হরমোন ‘ডোপামাইন’-এর ক্ষরণ বেড়ে যায়। পাশাপাশি, কর্টিজ়লের মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত হয়।