ডিটক্স ডায়েটে মূলত উপবাস ও পানীয় গ্রহণের উপর নির্ভর থাকতে হয়। ছবি: সংগৃহীত
দৈনন্দিন জীবনে একই ধরনের কাজ করতে করতে যেমন আমাদের অবসাদ আসে, তেমনই আমাদের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিও প্রতিনিয়ত কাজ করতে করতে হাঁফিয়ে ওঠে। তাদের সেই কাজ থেকে খানিকটা বিশ্রাম দিতেই পুষ্টিবিদরা ডিটক্স ডায়েটের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ডিটক্স ডায়েটে মূলত উপবাস ও পানীয় গ্রহণের উপর নির্ভর থাকতে হয়। শরীরে যে সব টক্সিন মল, মূত্র ও ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে না, সেগুলি এই ডায়েটিংয়ের সাহায্যে সহজেই নিষ্কাশন করা সম্ভব। সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতিও এই ডায়েট দারুণ উপকারী।
গাজর, বিট, সেলেরি, টোম্যাটো, লাউয়ের মতো সব্জির রস খেতে পারেন ডিটক্স চলাকালীন। খেতে পারেন ডালের স্যুপ বা যে কোনও ক্লিয়ার স্যুপও। তবে অতিরিক্ত কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে তৈরি গাঢ় স্যুপ খাবেন না। দূরে থাকার চেষ্টা করুন চিনি, কার্বোহাইড্রেট ও দুগ্ধজাতীয় খাবার থেকেও। তবে এক টানা তিন দিনের বেশি এই ডায়েট ভুলেও করবেন না। মাছ, মাংস, চিকেন, ডিম, মিষ্টি, চা, কফি, সফট ড্রিংক, জাঙ্ক ফুড খাওয়া যাবে না কিছুই।
ডিটক্স ডায়েট অনুসরণ করলে কি ওজন কমে?
অনেকেই ওজন ঝরাতে ডিটক্স ডায়েট অনুসরণ করেন। তবে ডিটক্স ডায়েটে মোটেই মেদ ঝরানো যায় না। শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায় বলে ওজন কম হয়েছে বলে মনে হয়। স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া করতে আরম্ভ করলেই ফের হারানো ওজন ফিরে আসে। এই ডায়েটের ফলে বিপাক হার কমে যায়। বিপাক হার বাড়লে তবেই ওজন কমবে। তাই ওজন ঝরাতে এই ডায়েট না করাই শ্রেয়।
প্রতীকী ছবি
তবে কেন করবেন এই ডায়েট?
·ভারী খাবার না খাওয়ার ফলে লিভার কিছুটা হলেও বিশ্রাম পায়। এতে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়।
·শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ পায় তাই শরীরে এনার্জি মাত্রা বেড়ে যায়।
·মনঃসংযোগ বাড়ে।
·অ্যাকনের সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ মু্ক্তি পাবেন। ত্বক উজ্জ্বল হবে।
·তরল খাদ্য প্রবেশ করায় রক্ত সঞ্চালন দ্রুত হয়।
·ঘুমের সমস্যা থাকলে এই ডায়েট মেনে চলতে পারেন। গাঢ় ঘুম হতে সাহায্য করবে।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই ডায়েট ভুলেও করবেন না। টিবি, ক্যানসার এবং বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্তদের এই ডায়েট না করাই ভাল। এই ডায়েট শুরু করার আগে পুষ্টিবিদের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করে নেবেন। এই ডায়েট করার সময় খুব বেশি শরীরচর্চা করবেন না, ক্লান্তি আসতে পারে।