চুল পড়ার কারণেই মানসিক চাপ বাড়ছে কি? ছবি- সংগৃহীত
ছোট থেকে উজ্জ্বল চুলের জন্য অনেকের মধ্যেই চর্চার পাত্রী ছিলেন, কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা কারণে সেই চুল আর নেই। বয়স ৩০-এর ঘরে পৌঁছতেই চুলের দফারফা। প্রতি দিনই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চুলের অবস্থা দেখে হতাশা গ্রাস করছে।
চিকিৎসকদের মতে, এই চুল পড়ার অনেকগুলি কারণের মধ্যে একটি হল মানসিক চাপ বা উদ্বেগ। কিন্তু হালের গবেষণা বলছে, অত্যধিক চুল পড়ার সঙ্গেও মানসিক উদ্বেগ বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। সেই কারণেই চুল পড়লেও তা নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা।
চুল পড়ার সঙ্গে উদ্বেগ, মানসিক চাপ, অবসাদের মতো সমস্যা জড়িয়ে রয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব পুরুষ বা মহিলা চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের আত্মহত্যা করার প্রবণতা বেশি।
১৮ থেকে ৩০ বছরের বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে ২৭ শতাংশ মেয়ে এবং ৩০ শতাংশ ছেলেদের চুল পড়ে যাওয়ার কারণে তাঁরা হীনম্মন্যতায় ভোগেন। শুধু তা-ই নয়, এই চুল পড়া থেকে জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
মানসিক সমস্যার সঙ্গে আবার সরাসরি ভাবে জড়িত হরমোন। হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে চুলের ফলিকলগুলি আলগা হয়ে যায়। ফলে অকালেই চুল ঝরে পড়ে।
আপনার চুল পড়ার কারণ কি অ্যালোপেশিয়া?
চুল পড়ার অন্যতম কারণ হল অ্যালোপেশিয়া। সঠিক সময়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিলে, তা সেরে যায়। এ ছাড়াও স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করলে অনেক ক্ষেত্রেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।