দই খেলে হবু মায়েরা ঠিক কী কী উপকার পেতে পারেন? প্রতীকী ছবি।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কী খাবেন আর কী খাবেন না, তা নিয়ে বিশেষ সচেতন থাকুন। এই অবস্থায় প্রায়ই মুখোরোচক খাবার খেতে ইচ্ছা করে। আপনার ফরমায়েশে সেই খাবার আপনার সামনে এনে হাজিরও করা হয়। তবে খেলেই বিপদ! হতে পারে পেটের সমস্যা।
হবু মায়েরা নিজের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় টক দই অবশ্যই রাখুন। এটি শরীর ঠান্ডা রাখে। দইতে ক্যালশিয়াম এবং প্রোটিনের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি থাকে, যা অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে ভীষণ জরুরি।
হবু মায়েরা নিজের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় টক দই অবশ্যই রাখুন। প্রতীকী ছবি।
দই খেলে হবু মায়েরা ঠিক কী কী উপকার পেতে পারেন?
১) দইতে প্রোবায়োটিক ব্যাক্টেরিয়া থাকে, যা অন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং খাবার হজমে সহায়তা করে।
২) দইতে প্রচুর মাত্রায় ক্যালশিয়াম থাকে, যা আপনার প্রতিদিনের ক্যালশিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে পারে। এ ছাড়াও শিশুর হাড় এবং দাঁত বিকাশের জন্য ক্যালশিয়াম প্রয়োজনীয়।
৩) অন্তঃসত্ত্বাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থাকে, যা হবু মা এবং শিশু উভয়কেই প্রভাবিত করতে পারে। দই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও দারুণ উপকারী।
৪) দইয়ে ভাল ব্যাক্টেরিয়া থাকার কারণে এটি পেটের সমস্যা এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
৫) এই অবস্থায় অনেক সময়ে পেশীতে টান পড়ে। ক্যালশিয়ামে ভরপুর দই পেশীর স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
৬) এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য, যা মাংস পেশীর বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দই পেশীর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
৭) অন্তঃসত্ত্বাদের অনেক সময়েই মেজাজ বিগড়ে যায়। এই সময় উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ বেশি হয়। দই খেলে মন শান্ত হয়।
৮) দইতে ভিটামিন ই রয়েছে, যা ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। ফলে ত্বকে ব্রণর সমস্যা বাড়ে। দই খেলে এই সমস্যায় উপকার পেতে পারেন।
৯) এই সময়ে ওজন বৃদ্ধি নিয়ে সকলেই বেশ চিন্তিত হন। দই ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।