প্রতীকী ছবি
মহিলারা সাধারণত গর্ভধারণের জন্য অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় ত্যাগ করেন। অথচ অনেকেই জানেন না যে বেশ কিছু খাবারও আছে যা শরীরের প্রজননক্ষমতা বাড়ায়। এখনকার সময়ে আমাদের জীবনযাত্রার ধরণ, কাজের চাপ এবং খাদ্যগ্রহণ বন্ধ্যত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ফলে আপনি যখন প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্যই খাবার খাচ্ছেন, তখন যে সব খাবারগুলি শরীরে স্ট্রেস হরমোন কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং জরায়ুতে রক্তপ্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
তরমুজ
তরমুজ হল গ্লুটাথিয়নের আরেকটি উৎস। এটি শরীরের অসুস্থতা, অম্বল, দেহের ফোলাভাব কমাতে এবং আপনি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেও আপনার ‘মর্নিং সিকনেস’ মেটাতে বিশেষ উপকারী। তরমুজ পুরুষের উর্বরতাকেও সাহায্য করে। কারণ এতে রয়েছে লাইকোপেন নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা শুক্রাণুর গতিশীলতায় সাহায্য করে।
বন্ধ্যত্ব মিটিয়ে ফেলতে নিয়মিত ডায়েটে রাখুন একটি বা দুটি ডিম
ডিম
ডিম প্রোটিনের একটি বড় উৎস। এবং শরীরের উর্বরতা বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে। ডিম কোলিন সমৃদ্ধ, একটি খাবার যা গবেষণায় দেখা গেছে ভ্রূণের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে বন্ধ্যত্ব মিটিয়ে ফেলতে নিয়মিত ডায়েটে রাখুন একটি বা দুটি ডিম।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোতে পটাশিয়াম, ফোলেট এবং ভিটামিন কে বেশি থাকে, যা আপনার শরীরকে অন্যান্য ভিটামিনগুলিকেও সঠিক ভাবে শোষণ করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া অ্যাভোকাডো ভিটামিন ই-র একটি চমত্কার উত্স, যা জরায়ুর আস্তরণের উন্নতিতে উপকারী হতে পারে।
বেদানায় রয়েছে ভিটামিন সি
বেদানা
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-সমৃদ্ধ বেদানায় রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফোলেট প্রভৃতি পুষ্টিকর উপাদান। এটি উর্বরতা বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজেও সমৃদ্ধ। তবে বেদানা ছাড়াও কমলালেবু, কিউয়ি, আমলকি, পেয়ারা এবং স্ট্রবেরির মতো রসালো ফল ভিটামিন সি-এর সমৃদ্ধ উৎস। ভিটামিন সি প্রোজেস্টেরন নামক গর্ভাবস্থার হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে যা গর্ভধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এটি একটি সুস্থ গর্ভাবস্থা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার শুক্রাণুর স্বাস্থ্য এবং গতিশীলতাও উন্নত করে তোলে।
মসুর ডাল
মসুর ডাল ফলিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এটি দেহের ক্লান্তি দূর করার জন্য অত্যন্ত উপকারী। মসুর ডাল পুরুষের উর্বরতা বাড়াতেও সহায়ক হতে পারে। এতে পলিমাইন স্পার্মিডিন থাকে, এই যৌগ শুক্রাণুকে ডিম নিষিক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। মসুর ডাল খাওয়ার উপকারিতা বহু কাল ধরেই পৃথিবীর বিখ্যাত পুষ্টিবিদরা স্বীকার করেছেন।