রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ উপকারী গুড়। ছবি: সংগৃহীত
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক মহিলাদেরই মিষ্টি খেতে বড়ই মন চায়। কখনও কেক-পেস্ট্রি কখনও আবার রসগোল্লা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম ফরমায়েশ। কিন্তু এই অবস্থায় খুব বেশি মিষ্টি খেতে বারণ করেন চিকিত্সকরা। তাহলে রসনা তৃপ্তি হবে কী করে? একান্তই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে খেতে পারেন গুড়। এই অবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ উপকারী গুড়। গুড় আয়রন সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর মাত্রায় খনিজ লবণ রয়েছে। সীমিত মাত্রায় খাওয়া হলে সঠিক পরিমাণে গ্লুকোজ সরবরাহ করতে পারে।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গুড় খাওয়ার স্বাস্থ্যে উপকারিতা
১) আয়রনের ঘাটতির কারণে রক্তাল্পতা দেখা দিতে পারে এবং গুড়ের মধ্যে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে যা রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
প্রতীকী ছবি
২) গুড়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, যা রক্ত পরিষ্কারে সহায়তা করে। এটি সংক্রমণ এড়াতেও সহায়তা করে। অনেকের গর্ভাবস্থায় হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, তাঁদের জন্য বিশেষ ভাবে উপকারী এই গুড়।
৩) গুড় ম্যাগনেশিয়ামের ভাল উত্স। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করে এটি।
৪) গুড়ে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম অন্তঃসত্ত্বাদের দেহে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখে, যা অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৫) এই সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন অনেক মহিলাই। গুড় হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।