— প্রতীকী চিত্র।
সারা বছরই টুকটাক শরীরচর্চা করেন। কিন্তু পুজোর আগে যেন সকলের মধ্যেই ঘাম ঝরানোর দাপট একটু বেশি চোখে পড়ে। কী করলে তাড়াতাড়ি মেদ ঝরবে, তা নিয়ে সকলেরই মাথাব্যথা থাকে। কাজ থেকে ফিরে যদি ক্লান্তি ঘিরে ধরে, গা ঘামাতে ইচ্ছে না করে, তাই প্রতি দিনই সকালে উঠে জিমে যান। কিন্তু খুব সকালে উঠতে পারেন না বলে শরীরচর্চা করার আগে কিছুই খেতে পারেন না। হালকা কিছু খেলেও তার পর শরীরচর্চা করতে গেলে অন্তত পক্ষে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। কারণ, খাওয়ার পর পরই ব্যায়াম করতে বারণ করেন প্রশিক্ষকেরা। না হলে গা গুলিয়ে, বমি করে শরীর আরও খারাপ হতে পারে। কিন্তু দ্রুত মেদ ঝরাতে একেবারে খালি পেটে শরীরচর্চা করা কি আদৌ ভাল?
রাতে খাবার খাওয়ার ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর সকালে শুধুমাত্র এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল খেয়ে শরীরচর্চা করতে যান অনেকেই। নতুন প্রজন্মের কাছে এই ‘ফাস্টেড এক্সারসাইজ]’ ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আবার অনেকেই মনে করেন সকালবেলা জলখাবার খেয়ে দিন শুরু না করলে যতই কসরত করুন না কেন, কোনও লাভই হবে না। কিন্তু কোন বিষয়টি সঠিক? প্রশিক্ষেরা বলছেন, খালি পেটে শরীরচর্চা করলে কিছু ক্ষেত্রে মেদ দ্রুত ঝরে। তার পিছনে বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে। শরীরচর্চা করতে যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন হয়, তা জোগান দেয় কার্বোহাইড্রেট। সকালে খাবার না খেলে তৎক্ষণাৎ কার্বোবাইড্রেট পাওয়া মুশকিল হয়। সেই সময়ে শরীর জমে থাকা মেদ পুড়িয়ে ক্যালোরি তৈরি করে নেয়। ফলে মেদ ঝরতে বাধ্য হয়। তবে এই ফিকির যে সকলের ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে, এমনটা কিন্তু নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শরীরের অবস্থা বুঝে এই ধরনের শরীরচর্চা করা যেতে পারে।
সকালে উঠে শুধুমাত্র উষ্ণ জল খেয়ে খালি পেটে শরীরচর্চা করলে রক্তে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে বিপাকহার উন্নত হয়। শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপের উপরেও তার প্রভাব পড়ে। যদি এই পদ্ধতিতে নতুন করে কোনও শারীরিক সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে ওজনের ফারাক খুব তাড়াতাড়িই চোখে পড়বে।
শরীরচর্চা করার কত ক্ষণ পর খাবেন?
এই ধরনের শরীরচর্চা করতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ বোধ করেন। কারও কারও মাথা ঘোরে। বমিও পেতে পারে। অতিরিক্ত ক্লান্ত বোধ করতে পারেন অনেকেই। সে ক্ষেত্রে অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা আগে সামান্য কিছু যেমন বাদাম, বীজ, শুকনো কিছু ফল খেয়ে শরীরচর্চা করা যেতে পারে।