প্রতীকী ছবি।
সদ্য ডায়াবিটিস ধরা পড়েছে নন্দিতার। কিছু দিন আগেই চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। হাতে অখণ্ড অবসর। কিন্তু মন একেবারেই ভাল নেই তাঁর। চিকিৎসক প্রায় সব খাবার খাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন। আম খেতে প্রচণ্ড ভালবাসেন তিনি। অথচ ডায়াবিটিসের কারণে এখনও পর্যন্ত এক টুকরো আম দাঁতে কাটতে পারেননি। শুধু কি আম, রোদ থেকে ফিরে যে এক গ্লাস ডাবের জল খাবেন, তারও উপায় নেই। কিন্তু ডায়াবিটিস থাকলে কি সত্যিই ডাবের জল খাওয়া যায় না?
অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে ধন্দ থাকেন। ডাবের জল এমনিতে শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে এই পানীয় খাওয়া আদৌ স্বাস্থ্যকর হবে কি? চিকিৎসকরা অবশ্য বলছেন, ডায়াবিটিস থাকলে ডাবের জল খাওয়া যেতে পারে। বরং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এই পানীয়।
ছবি: প্রতীকী।
১) ডাবের জলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) অনেক কম। যে সব খাবারে জিআই কম, সে সব জিনিস ডায়াবেটিকরা খেতে পারেন। ফলে ডাবের জল ক্ষতি করবে না। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও বেশি বাড়তে দেয় না এই পানীয়।
২) ডাবের জলে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালশিমায়, ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপকারী উপাদান। রক্তে শর্করার মাত্রা বিপদসীমা পেরোতে দেয় না এই উপাদানগুলি।
৩) হজমজনিত সমস্যা থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা বশে রাখা যায় না। তাই প্রথমে হজমের গোলমাল সারিয়ে তোলা জরুরি। এ ক্ষেত্রে ডাবের জল বেশ সাহায্য করে। পেটের খেয়াল রাখে ডাবের জল। বিপাকহার উন্নত করে।
৪) ডায়াবিটিস হলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ওজন হাতের মুঠোয় রাখতে ডাবের জল কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তা ছাড়া, এই পানীয়ে ক্যালোরি বেশ কম থাকে। বায়োএনজাইমে সমৃদ্ধ ডাবের জল ওজন বাড়তে দেয় না। শর্করার পরিমাণ কমাতে খেতেই পারেন ডাবের জল।