মুখের দুর্গন্ধ হতেই পারে পেটের গন্ডগোলের ইঙ্গিত। ছবি: শাটারস্টক।
কথা বলার সময় কারও মুখ থেকে যদি দুর্গন্ধ আসে, সে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। কলেজ হোক বা অফিস, কারও মুখ থেকে গন্ধ এলে, সে কথা মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি সময় লাগে না। সাধারণত দাঁত, দাঁতের গোড়া, মাড়ি, জিভ, মুখগহ্বরে কোনও সংক্রমণ হলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। তাই খাওয়ার পর ঠিক মতো মুখ না ধুলে, পর্যাপ্ত জল না খেলে, দাঁতের গোড়ায় খাবারের অংশ আটকে থাকলে বা দাঁতের এনামেল নষ্ট হলেও মুখ থেকে খারাপ গন্ধ আসতে পারে। তবে শুধু তা-ই নয়, অম্বলের সমস্যা থাকলেও কিন্তু মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, যাঁরা নিয়মিত অম্বলের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। যখন পাকস্থলীর অভ্যন্তরে থাকা পদার্থ, যেমন হজম না হওয়া খাবার, পিত্ত এবং হজমে সাহায্যকারী উৎসেচকগুলি খাদ্যনালিতে উঠে আসে, তখন অ্যাসিড রিফ্লাক্স ঘটে। ক্রমাগত বুকে জ্বালা হয়। মুখে টক স্বাদ ছড়িয়ে পড়ে। আর এর থেকেই মুখে দুর্গন্ধ হয়।
তাই দু’বেলা ভাল করে মুখের যত্ন নেওয়ার পরেও যদি মুখে দুর্গন্ধ হয়, তা হলে পেটের স্বাস্থ্য ঠিক আছে কি না, সে দিকেও নজর দিতে হবে। গরমের সময় এমনিতেই খাবার ঠিক মতো হজম হয় না। পেট ফুলে থাকে, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে। কী করলে মিলবে সুফল?
তাই দু’বেলা ভাল করে মুখের যত্ন নেওয়ার পরেও যদি মুখে দুর্গন্ধ হয়, তা হলে পেটের স্বাস্থ্য ঠিক আছে কি না, সে দিকেও নজর দিতে হবে। ছবি: শাটারস্টক।
অ্যাসিড যাতে বেশি না হয়, সে জন্য সময় মতো বার বার অল্প করে খেতে হবে। তাতে পাকস্থলীতে খাবার পাচনের জন্য ক্ষরিত হওয়া হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ভাল করে কাজ করার সময় পাবে। অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে গরমে লেবু, মুসাম্বির মতো টক ফল না খাওয়াই ভাল। উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার হজমে সাহায্য করে। বেশি তেল, ঝাল, মশলাযুক্ত খাবার কম খাওয়াই ভাল। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে শাকসব্জি, ফল বেশি করে খাবেন। পর্যাপ্ত মাত্রায় জল খেতে হবে। দই খাওয়া হজমের পক্ষে সব সময়েই ভাল। দইয়ের মধ্যে ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাক্টেরিয়া থাকে, যা হজমে সাহায্য করে। তাই হজমে যাঁদের সমস্যা, তাঁরা দুধ বাদ দিয়ে দই খেতে পারেন।