ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ এর চেয়ে ক্যালোরি মেপে খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানীং ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ বেশ জনপ্রিয়। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ নিয়ে অন্য রকম দাবি করল। ক্যালোরি মেপে খাওয়াদাওয়া করার চেয়ে তা বেশি কার্যকর নয় বলেই গবেষণাপত্রে দাবি করলেন বিজ্ঞানীরা।
সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ক্যালোরি মেপে খাওয়া আর ‘ইন্টামিটেন্ট ফাস্টিং’ করার ফলের মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই। বরং দীর্ঘ সময় ধরে ক্যালোরি মেপে খেলে ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’-এর তুলনায় বেশি ভাল ফলই পাওয়া যায়।
‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’-এর ক্ষেত্রে খাবারের ধরন নিয়ে তেমন কড়া বিধি-নিষেধ থাকে না। তাই তরুণ প্রজন্ম আরও অনেক বেশি এই ডায়েটের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। এই ডায়েটের ক্ষেত্রে দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যেই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। আর বাকি সময়টা অর্থাৎ, ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস করে কাটাতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ক্যালোরিও কম যায়।
নির্দিষ্ট ক্যালোরি মেপে খাওয়ার খান। ছবি: সংগৃহীত।
যাঁরা সময়ের বাঁধন না মেনে ক্যালোরি মেপে খাবার খান এবং যাঁরা ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করেন, তাঁদের মধ্যে ওজন ঝরার প্রক্রিয়ায় খুব বেশি হেরফের হয় না বলেই দাবি গবেষকদের। গবেষকরা দেখেছেন, সারা দিন যদি কোনও ব্যক্তি ক্যালোরি মেপে খাবার খেয়ে ডায়েট করেন আর অন্য ব্যক্তি যদি আট ঘণ্টার মধ্যে ক্যালরির তোয়াক্কা না করেই খেয়ে নেন, সে ক্ষেত্রে দু’জনের সমান দিনের ব্যবধানে কাছাকাছি মাত্রায় ওজন ঝরেছে। তবে এক বছরের ব্যবধানে দেখা গিয়েছে, ক্যালোরি মেপে যাঁরা খাবার খেয়েছেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় ৫ কেজি বেশি ওজন ঝরিয়েছেন। অর্থাৎ, দীর্ঘ দিন করার জন্য ক্যালোরি মেপে খাওয়াই বেশি স্বাস্থ্যকর।
‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’-এ খাদ্যের ধরনের উপর খুব বেশি বিধিনিষেধ থাকে না। তাই বলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে কখনওই আপনার ওজন কমবে না। এ ক্ষেত্রেও কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস মেনে চলতে হবে। এই ডায়েট চলাকালীন প্রচুর শাকসব্জি, মাছ-মাংস এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তবে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায়। আপনি যতটা পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করছেন, সেই পরিমাণ ক্যালোরি খরচ হচ্ছে কি না, সেটাও লক্ষ্য করতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লোকে বেশি ক্যালোরির খাবার খেয়ে ফেলেন নির্দিষ্ট সময়, সে ক্ষেত্রে সুফল পান না তাঁরা।