ঘুম ভাল হলে শুধু শরীর নয়, ভাল থাকে মনও। ছবি: সংগৃহীত
শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম ওষুধ হল পর্যাপ্ত ঘুম। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তিও মজবুত হয়ে ওঠে। শরীর নিজেই নিজেকে রক্ষা করে। সংক্রমণ ঠেকায়। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের রোজ অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের ঘাটতি থাকলে শরীরের অন্দরে নানা রকম অসুখ জন্ম নেয়। ঘুম ভাল হলে কাজেও গতি থাকে। উদ্যম থাকে। ঘুম কম হলে বেড়ে যেতে পারে ওজনও। স্থূলতার সমস্যার অন্যতম কারণ হল ঘুমের ঘাটতি।
ঘুম ভাল হলে শুধু শরীর নয়, ভাল থাকে মনও। কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। প্রয়োজনের তুলনায় ঘুম কম হলে তা শরীর ও মন— কোনওটির জন্যেই ভাল নয়। তবে এখনকার এই ব্যস্ততাময় জীবনে নিশ্চিন্তে ঘুমানোর অবকাশও কমে গিয়েছে। কাজের বিপুল চাপ, ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন সমস্যা, মানসিক উদ্বেগ— সব মিলিয়ে ঘুমের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে ক্রমশ। ঘুমের অভাবে নানা দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা দেখা দেয়— ডায়াবিটিস, হৃদ্যন্ত্রজনিত সমস্যা, ডিমেনশিয়া। শরীরে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা এড়িয়ে যাওয়া মানে নিজেরই ক্ষতি করা। প্রাথমিক ভাবে একে সমস্যাজনক মনে না হলেও পরবর্তী কালে বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
শরীরে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা এড়িয়ে যাওয়া মানে নিজেরই ক্ষতি করা। ছবি: সংগৃহীত
আগামী ১৮ মার্চ বিশ্ব ঘুম দিবস। তার আগে ১৫ মার্চ বিআর সিংহ হাসপাতাল বিশ্ব ঘুম দিবস উপলক্ষে এক বিশেষ আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল। সুস্থ জীবনযাপনের জন্য ঘুম অন্যতম ওষুধ— সে কথা জনমানসে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দিতেই মূলত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই প্রয়াস। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের দ্বারা পরিচালিত এই আলোচনাসভার বিষয় ছিল ঘুমের ঘাটতির কারণে সৃষ্টি হওয়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা এবং সেগুলির প্রতিকার।