Stroke

দেশে প্রতি ৪ মিনিটে এক জনের স্ট্রোকে মৃত্যু হয়! ঝুঁকি এড়াবেন কী ভাবে?

প্রতি বছর বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় স্ট্রোক। সম্প্রতি দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস’ (এমস) একটি তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে। তাদের সমীক্ষা জানাচ্ছে, ভারতে প্রতি চার মিনিটে অন্তত এক জনের মৃত্যু হয় স্ট্রোকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৩ ১৯:১৮
Share:

‘গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজেস’ অনুসারে, ভারতে স্ট্রোকের হার ৬৮.৬ শতাংশ। ছবি: সংগৃহীত।

সম্প্রতি ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স’ (এমস)-এর নিউরোলজি বিভাগের গবেষকরা একটি তথ্য প্রকাশ করেছেন। এইমস জানাচ্ছে, ভারতে প্রতি চার মিনিটে অন্তত এক জনের স্ট্রোকে মৃত্যু হয়। হৃদ্‌রোগজনিত সমস্যা ইদানীং বিদ্যুৎগতিতে বেড়ে চলেছে। হার্টের সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। কমবয়সিদের মধ্যে এই রোগ সমান তালে হানা দিচ্ছে। ক্রমশ আশঙ্কা বাড়াচ্ছে হৃদ্‌রোগ। সাধারণ মানুষ থেকে বলি তারকা, এই আকস্মিক বিপদের কবল থেকে রেহাই পাচ্ছেন না কেউই।

Advertisement

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, এ দেশে প্রতি বছর যে সংখ্যাক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, তার মধ্যে বেশির ভাগই হয় স্ট্রোকের কারণে। ভারতে প্রতি বছর প্রায় ১,৮৫,০০০টি স্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি স্ট্রোক হয়। ‘গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজেস’ অনুসারে, ভারতে স্ট্রোকের হার ৬৮.৬ শতাংশ। স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুর হার ৭০.৯ শতাংশ এবং ৭৭.৭ শতাংশ স্ট্রোকের কারণে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে নিজের কর্মশক্তি হারিয়েছেন।

বয়স বাড়লে সাধারণত এই ধরনের রোগ দেখা দেয় বলেই ধারণা অনেকের। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সেখানেই ভুল করেন অধিকাংশ। অসুস্থতা কোনও বয়সের বাধা মানে না। কম বয়সেও হতে পারে স্ট্রোক। এমনকি, ২০ বছরের কমবয়সিদের মধ্যেও স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন। রোজের জীবনের কয়েকটি অভ্যাস স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। সেগুলি জানা থাকলে এখন থেকে সতর্ক হতে পারবেন।

Advertisement

অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আশি শতাংশ কমাতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি। অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও স্নেহপদার্থ যুক্ত খাবার বাড়ায় স্ট্রোকের আশঙ্কা। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। যাঁরা আগে থেকেই ঝুঁকিসম্পন্ন, তাঁদের ডিমের কুসুম ও মাংস খাওয়া ছাড়তে হতে পারে।

শরীরচর্চার অভাব ও সারাদিন শুয়ে-বসে থাকা ডেকে আনে এই রোগ। ছবি: সংগৃহীত।

পরিশ্রম কম করা

শরীরচর্চার অভাব ও সারাদিন শুয়ে-বসে থাকা ডেকে আনে এই রোগ। অলস জীবনযাপনে বাড়ে ওজন, কমে পেশি ও হাড়ের সক্ষমতা। বিপাকের হারেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

ধূমপান

ধূমপানের ফলে শরীরে অসংখ্য ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করে। এমনকি, পরোক্ষ ধূমপানেও প্রবল ক্ষতি হয় শরীরের। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা যায় কমে। ফলে ফুসফুসের পাশাপাশি ক্ষতি হয় সংবহনতন্ত্রেরও।

মদ্যপান

অতিরিক্ত মদ্যপান অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের অন্যতম কারণ। অ্যালকোহল শিরা ও ধমনীর স্থিতিস্থাপকতাকে মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তা স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement