‘হু’-র প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বলেছিলেন, ‘‘কিডনির গুরুতর সমস্যা ও ৬৬ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে যোগ থাকতে পারে ওই ওষুধগুলির।” প্রতীকী ছবি।
আফ্রিকার গ্যাম্বিয়ায় ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার কাশির সিরাপের যোগ রয়েছে, এমনটাই দাবি করল আমেরিকার শীর্ষ স্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার ফল ডিজিজ় কন্ট্রোল (সিডিসি)। শুক্রবার প্রকাশিত একটি সিডিসি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘তাদের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, গাম্বিয়াতে আমদানি করা কাশির ওষুধে ডাইথিলিন গ্লাইকল বা ইথিলিন গ্লাইকলের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে, যা শিশুদের শরীরে কিডনিতে সংক্রমণের জন্য দায়ী।’’
এর আগে প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কাফ সিরাপ, মেকফ বেবি কাফ সিরাপ এবং মাগরিপ এন কোল্ড সিরাপ নামে চারটি কাশির সিরাপের সঙ্গে আফ্রিকার শিশুমৃত্যুর ঘটনার যোগ রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল ‘হু’। ‘হু’-র প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বলেছিলেন, ‘‘কিডনির গুরুতর সমস্যা ও ৬৬ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে যোগ থাকতে পারে ওই ওষুধগুলির।” ওই চারটি কাশির সিরাপ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছিল ‘হু’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর এ বার সিডিস-এর এই রিপোর্টের জন্য কাশির সিরাপে রাসায়নিক যৌগের উপস্থিতি নিশ্চিত করল আর সে কারণেই চাপ বাড়ল ‘মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস’ নামে হরিয়ানার সোনিপতের ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার।
ভারত সরকার তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে যে, গাম্বিয়াতে রফতানি করা নির্দিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে একই ব্যাচের ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে কোনও রকম রাসায়নিক যৌগের উপস্থিতি পায়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শীর্ষ এক অধিকর্তা বলেন, ‘‘আমরা ভারতীয় কর্মকর্তাদের একটি দলকে মামলাটির তদন্ত করার জন্য গাম্বিয়াতে যাওয়ার অনুরোধও জানিয়েছিলাম, কিন্তু গাম্বিয়ার সরকার আমাদের সেই অনুমতি দেয়নি।’’ সিডিসির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর অবশ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এখনও কোনও রকম মন্তব্য করা হয়নি।