কোন চায়ের গুণে পালাবে রোগাবালাই? ছবি: সংগৃহীত।
আমিষ, নিরামিষ যা-ই হোক, রান্নায় তেজপাতা দিলে স্বাদ বেড়ে দ্বিগুণ হয়। বিরিয়ানি থেকে বাসন্তী পোলাও, পায়েস থেকে মাছের ঝোল— তেজপাতার গুণে সাধারণ খাবারের স্বাদও অসাধারণ হয়ে ওঠে। তেজপাতার ভূমিকা শুধু রান্না সুস্বাদু করে তোলায় নয়, শরীরের যত্নেও এই পাতার জুড়ি মেলা ভার। তেজপাতায় রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এ, সি, আয়রনের মতো বহু উপকারী উপাদান। নানা রোগবালাই থেকে দূরে থাকতে তেজপাতা অন্যতম ভরসা হতে পারে। রান্নায় তো তেজপাতা ব্যবহার করা হচ্ছেই, তবে এই পাতা দিয়ে তৈরি চা খেলেও উপকার মিলবে বহু। সেগুলি কী?
১) ক্যাফেইক অ্যাসিড থাকে বলে হৃদ্যন্ত্রকে শক্তিশালী করে তুলতে পারে তেজপাতা। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। কোলেস্টেরলের রোগীরা ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি তেজপাতার উপরেও ভরসা রাখতে পারেন। উপকার পাবেন।
২) তেজপাতায় অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকায় এটি ক্ষত সারাতে দারুণ ভাবে কাজ করে। সর্দি-কাশির সময়ে এই চা খেলে যথেষ্ট আরাম পাওয়া যায়। ঠান্ডা লাগার সমস্যায় দারুণ উপকারী এই পাতা।
নিয়মিত এই চা খেলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।
৩) নিয়মিত এই চা খেলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। টাইপ ২ ডায়াবিটিসের জন্য তেজপাতা খুবই কার্যকর। ডায়াবেটিকদের সুস্থ রাখতে প্রায় সঞ্জীবনীর মতো কাজ করে তেজপাতা।
৪) খাবার হজম করার উৎসেচক ক্ষরণে তেজপাতা বেশ উপকারী। দ্রুত খাবার ভাঙতে পারে তেজপাতার রস। ফলে যাঁরা পেটের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা নিয়মিত তেজপাতার চা খেতেই পারেন। উপকার পাবেন।