করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামগুলি সংগ্রহে রাখাটা জরুরি।
২০২১ এর মাঝামাঝি সময়ে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও ছিল স্থিতিশীল। বছরের শেষ দিক থেকে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। করোনার নতুন আতঙ্কের নাম ওমিক্রন। দেশ তো বটেও রাজ্যজুড়ে দৈনিক সংক্রমণের হার বাড়ছে লাফিয়ে। এই পরিস্থিতিতে নিজে এবং পরিবারের বাকি সদস্যের প্রতি অধিক সচেতনতা প্রয়োজন। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামগুলি সংগ্রহে রাখা জরুরি।
পালস্ অক্সিমিটার
এই অতিমারি সময়ে পালস্ অক্সিমিটার সবচেয়ে জরুরি একটি জিনিস। করোনা আক্রান্ত হলে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী কারও অক্সিজেনের মাত্রা ৯৭ এর নীচে নেমে গেলে তা ঝুঁকিপূর্ণ।তাই এই সময়ে অক্সিজেনের মাত্রা বারে বারে নিরীক্ষণ করতে পালস্অক্সিমিটার প্রয়োজন।
আইআর থার্মোমিটার
কোনওরকম শারীরিক সংস্পর্শ ছাড়াই দূর থেকে আইআর থামাোমিটার শরীরের উষ্ণতা পরিমাপে সক্ষম।
র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট
করোনার কোনও উপসর্গ দেখা দিলে প্যাথোলজি বা বাইরে থেকে কাউকে ডেকে এনে করোনা পরিক্ষার বিকল্প হিসাবে কাজ করে এই র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট। এটির মাধ্যমে নিজেরাই করোনা পরীক্ষা করে নিতে পারবেন।
গ্লুকোমিটার কেনা থাকলে বাড়িতেই মেপে নিতে পারবেন রক্তে শর্করার মাত্রা।
গ্লুকোমিটার
যাঁরা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত এই পরিস্থিতিতে বারে বারে বাইরে গিয়ে রক্তে শর্করা মাত্রা মাপা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। গ্লুকোমিটার কেনা থাকলে বাড়িতেই মেপে নিতে পারবেন রক্তে শর্করার মাত্রা।
ইউভি স্টেরিলাইজার
সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহার করা চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতিগুলি জীবাণুমুক্ত রাখে ইউভি স্টেরিলাইজার কাজে দিতে পারে।
অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর
করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তির শ্বাসকষ্টের সমস্যায় অক্সিজেন জোগাবে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর।
পোর্টেবেল অক্সিজেন ক্যানিস্টার
করোনা সংক্রামিত ব্যাক্তির শ্বাসকষ্টের সমস্যা প্রাথমিক ভাবে শুশ্রূষার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
ফিটনেস ব্যান্ড
ফিটনেস ব্যান্ডের মাধ্যমে আপনি আপনার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ ইত্যাদি নজরে রাখতে পারবেন।