ঘুম থেকে উঠে কালো কফিতে চুমুক দেওয়ার পরিবর্তে চুমুক দিন ভেষজ চায়ে। ছবি: শাটারস্টক
শীত মানেই নানা রকম শারীরিক সমস্যা। কারণ, গরম থেকে ঠান্ডা পড়ার এই সময়টা বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ যেমন বাড়তে থাকে, তেমনই বাড়ে রোগ-জীবাণুর প্রকোপ। তাই চট করে ঠান্ডা লাগা, অ্যালার্জিজনিত সর্দি-কাশি, গলা খুসখুস লেগেই থাকে। শীতকালীন রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে রোজ তুলসী পাতার উপর ভরসা রাখতেই পারেন। ঘুম থেকে উঠে কালো কফিতে চুমুক দেওয়ার পরিবর্তে চুমুক দিন ভেষজ চায়ে।
একটি পাত্র্রে জল গরম করে আদা ও তুলসী পাতা দিয়ে খানিক ক্ষণ ফুটিয়ে নিন। তার পর জলটি ছেঁকে একটি টিব্যাগ ও এক চা চামচ মধু দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ভেষজ চা।
রোজ সকালে তুলসী চায়ে চুমুক দিলে কী হবে?
১) শীতকাল এলেই অনেকের শ্বাসকষ্ট বাড়ে। অনেকের ঠান্ডা লেগে বুকে কফ জমে যায়। সকালে নিয়মিত এই চায়ে চুমুক দিলে অনেক আরাম পাবেন। সর্দি-কাশির সমস্যা দূর হবে।
২) শীতকালে বাতের ব্যথা বাড়ে। এই পানীয়তে নিয়মিত চুমুক দিলে গাঁটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন।
৩) শীতকাল মানেই জমিয়ে ভূরিভোজ। বিয়েবাড়ি, পিকনিক কিংবা বড়দিনের ভোজ তো লেগেই আছে। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম মানেই বদহজমের সমস্যা। সে সব দূর হবে তুলসী চায়ে চুমুক দিলে।
শীতকাল এলে চুল ও ত্বক দু’টিই শুষ্ক হয়ে যায়। ছবি: শাটারস্টক।
৪) কম জল খাওয়ার কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে পেটে পাথর জমে। এই সমস্যায় ভুগলেও তুলসী চায়ে আরাম পেতে পারেন।
৫) শীতকাল এলে চুল ও ত্বক দু’টিই শুষ্ক হয়ে যায়। তুলসী চায়ে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। তাই রক্ত পরিষ্কার হয়। ত্বকে র্যাশ, চুলকানির সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। চুলেও জেল্লা আসে।