রেটিনার ক্ষয় কী ভাবে আটকানো সম্ভব? ছবি: সংগৃহীত।
কারও মুখের দিকে তাকালেই মনে হচ্ছে, মুখটা কালো ও ঝাপসা। টিউবলাইটের দিকে তাকালে মনে হচ্ছে, লাইটের মাঝখানে যেন গর্ত রয়েছে! চোখে এ রকম সমস্যা কয়েক দিন ধরেই হচ্ছে? অনেকেই মনে করেন এই সমস্যা চোখের পাওয়ার বৃদ্ধির কারণে হচ্ছে। তবে এই সব লক্ষণ কিন্তু রেটিনার সমস্যাও হতে পারে। রেটিনার ম্যাকুলায় ছিদ্র হলে দৃষ্টিজনিত এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব, চিকিৎসা শুরু না করলে দৃষ্টিশক্তি হারানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব, বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং ডায়াবেটিক ম্যাকুলার এডিমা— রেটিনার কার্যকারিতা কমে যাওয়ার পিছনে এই কারণগুলিকেই দায়ী করেন চিকিৎসকেরা।
প্রাথমিক পর্যায়ে রেটিনার সমস্যার লক্ষণ ও উপসর্গগুলি শনাক্ত করা এবং সময় মতো চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই সমস্যা থেকে প্রতিকার পেতে মানসিক চাপ কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করা আর সময় মতো ওষুধ নিয়ে রেটিনার এই সব সমস্যা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
রেটিনার সমস্যা থেকে প্রতিকার পেতে মানসিক চাপ কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে রেটিনার সমস্যা এড়িয়ে চলবেন?
এ ক্ষেত্রে সবার আগে মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। এর জন্য নিয়মিত শ্বাসের ব্যায়াম, যোগাসন, ধ্যান করতে হবে। পড়াশোনা কিংবা কলেজের কাজকর্ম ছাড়াও এমন কোনও কাজে মন দিন, যা আপনার করতে ভাল লাগে। মাঝেমাঝে ঘুরতে যান, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটান। রাতে বেশি ক্ষণ জেগে থাকবেন না। প্রতি দিন শরীরের সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন। ঘুমোনোর আগে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন। বছরে অন্তত এক বার চক্ষু পরীক্ষা করাতেই হবে। পরীক্ষা করালেই একমাত্র রেটিনার অসুখ ধরা পড়ে। যত দ্রুত রোগ ধরা পড়বে, সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ততটাই বেশি। এ ছাড়াও খাওয়াদাওয়ার উপরেও নজর রাখতে হবে। বেশি করে মরসুমি ফল, শাকসব্জি, লিন প্রোটিন, শস্যজাতীয় খাবার ডায়েটে রাখতে হবে। ধূমপানেও রাশ টানা জরুরি।