ঢেকুরের সমস্যা কমবে কিসের গুণে? ছবি: সংগৃহীত।
এমনিতে ঢেকুর তোলা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু যখন তখন বার বার সবার সামনে সশব্দে ঢেকুর উঠলে তা অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। অনেকে আবার ঘাবড়ে গিয়েও ঢেকুর তুলতে শুরু করে দেন।
চিকিৎসকেরা বলছেন, খাবার পরিপাকের সঙ্গে যুক্ত স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া হল ঢেকুর তোলা। যা কোনও দিক থেকেই ক্ষতিকর নয়। তবে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পেটে সামান্য জল প্রবেশ করা মাত্রই ঢেকুর তোলার অভ্যাস কিন্তু স্বাভাবিক না’ও হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, কোনও ব্যক্তি সারা দিনে কত বার ঢেকুর তুলবেন, তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির হজম করার ক্ষমতা এবং খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসের উপর। যত্রতত্র সশব্দে ঢেকুরের বিপত্তি কিন্তু ঘরোয়া কিছু টোটকা দিয়েই দিব্যি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। জেনে নিন সেই রকমই কিছু অব্যর্থ টোটকা।
আদা
এমনিতেই হজম, পেটের হাজারটা ঝুটঝামেলা সামলাতে আদার জুড়ি মেলা ভার। অপ্রয়োজনীয় ঢেকুরও কিন্তু আদা সহজেই দূরে রাখে। আদার ঝাঁঝালো গন্ধে সমস্যা না থাকলে প্রতি দিনে দু’-তিন বার কয়েক কুচি আদা চিবোন। চাইলে একটু মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। এমনি চায়ের বদলে আদা দেওয়া চা খাওয়া অভ্যাস করুন।
দই
আপনার রোজের ডায়েটে অবশ্যই রাখুন টক দই। অনেকেই ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট হয়। দুধ বা দুগ্ধজাত প্রোডাক্ট খেলেই তাদের ঢেকুর উঠতে শুরু করে। এ ক্ষেত্রে দই খেতে পারেন রোজ। দই পেট ঠান্ডা রাখে, হজমশক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
হিং ও মৌরি
হিং ও মৌরি কিন্তু ঢেকুরের সমস্যার সমাধান করতে পারবে সহজেই। সাধারণ ডালে ১ চা চামচ হিং আর ১/৪ চামচ মৌরি ফোড়ন দিন নিয়ম করে। অবাঞ্ছিত ঢেকুর আটকাবেই।
পুদিনা চা। ছবি: সংগৃহীত।
পুদিনা চা
পুদিনা পাতা যদি নিয়মিত কাঁচা চিবোতে পারেন, তা হলে তো কোনও কথাই নেই। কিন্তু তাতে যদি আপত্তি থাকে, তা হলে পুদিনা দেওয়া চা খান বা জলের সঙ্গে পুদিনা পাতা ফুটিয়েও খেতে পারেন।
পেঁপে
রোজ পেঁপে খেলে হজম ক্ষমতা বাড়ে। অকারণ গ্যাস তৈরি হয় না। ঘন ঘন ঢেকুরও আর ওঠে না।
প্রতি দিনের খাবার নিয়ে ভাবনা ও নিয়মিত শরীরচর্চা
১. অল্প অল্প করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। দু’ঘণ্টা অন্তর হালকা কিছু খাবার খেতে পারলে এই ধরনের সমস্যা হবে না।
২. কী ধরনের খাবার থেকে হজমের সমস্যা হয়, তা বুঝতে পারলে, সেই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।
৩. এ ছাড়া উদ্বেগ, অবসাদ বা মানসিক চাপ থেকেও কিন্তু এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই নিয়মিত মেডিটেশন, শরীরচর্চা করতে পারলে ভাল।