সম্প্রতি এক গবেষণা জানাচ্ছে, আপনি কী ধরনের চাকরি করেন তার সঙ্গেও গর্ভাপাতের বিষয়টি সম্পর্কিত। ছবি: শাটারস্টক।
সন্তানসম্ভবা মহিলাদের সব সময়ই সাবধানে থাকতে এবং নিজের বাড়তি যত্ন নেওয়ার কথা বলা হয়। গর্ভধারণের প্রথম ২৬ সপ্তাহ গর্ভপাতের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। লন্ডনের ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিসের মতে, গর্ভপাত হতে পারে একাধিক কারণের জন্য। তবে বেশির ভাগেরই ধারণা, শিশুর ক্রোমোজ়োমের অস্বাভাবিকতার কারণেই গর্ভপাত হয়।
সম্প্রতি এক গবেষণা জানাচ্ছে, আপনি কী ধরনের চাকরি করেন তার সঙ্গেও গর্ভাপাতের বিষয়টি সম্পর্কিত। দক্ষিণ কোরিয়ার ‘জার্নাল অব অকুপেশানাল হেল্থ’-এর রিপোর্টে গর্ভপাত, এপটোপিক প্রেগন্যান্সি এবং মোলার প্রেগন্যান্সি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব মহিলারা চাকরি করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই তিন ধরনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। গবেষণা অনুযায়ী, যে সব মহিলা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কাজ করেন এবং যাঁরা সমাজসেবী সংগঠনে কাজ করেন তাঁরাই সবচেয়ে বেশি মৃত সন্তানের জন্ম দেন। এ ছাড়া যাঁরা পাইকারি বা খুচরো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, যাঁরা শিক্ষাক্ষেত্রে কাজ করেন তাঁদেরও অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নানা শারীরিক জটিলতার ঝুঁকি থাকে। যাঁরা বিমা সংস্থায় কিংবা অন্য আর্থিক ক্ষেত্রে কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে কম।
যাঁরা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মদ্যপান, ধূমপান করেন, মাদক খান তাঁদের ঝুঁকিও বেশি।
গবেষণা অনুযায়ী, লন্ডনে ৮ জন অন্তঃসত্ত্বার মধ্যে ১ জনের গর্ভপাত হয়ে থাকে। ২০২২ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, ইউরোপীয় মহিলাদের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি গর্ভপাত হয় এশীয় বংশোদ্ভূতদের। বলা হয়, এশীয় মহিলাদের ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। অন্তঃসত্ত্বা দশার প্রথমিক পর্যায়ে তাই তাঁদের গর্ভপাত বেশি হয়। যাঁরা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মদ্যপান, ধূমপান করেন, মাদক খান তাঁদের ঝুঁকিও বেশি।