ছবি: সংগৃহীত।
শরীর খুব দুর্বল। তাই রোজ একটি করে ডিম খেতে বলেছেন পুষ্টিবিদ। আবার যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁদের জন্যও ডিম জরুরি। তবে রোজ সেদ্ধ ডিম খেতে কারই বা ভাল লাগে। তাই সকালের জলখাবারে ডিমের পোচ বা ভুর্জি চাই। আবার সকালে যদি ডিম না খাওয়া হয়, শীতের রাতে রগরগে ডিমের ঝোল হলেও মন্দ হয় না। তবে বেশি ডিম খেলে তো আবার কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার জন্য শুধু ডিমকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। ডিম কী ভাবে খাচ্ছেন, তার উপরেও কিন্তু অনেক কিছু নির্ভর করে।
পেনসিলভেনিয়ার বাসিন্দা, চিকিৎসক কেলিয়ান পেট্রুসি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, প্রোটিন ছাড়াও আয়রন, জ়িঙ্ক, রাইবোফ্ল্যাভিন, ফসফরাস, ফোলেটের মতো বেশ কিছু জরুরি খনিজ পদার্থ এবং নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে ডিমের মধ্যে। শারীরবৃত্তীয় নানা কাজের জন্য প্রতিটি খনিজ গুরুত্বপূর্ণ। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে যে ডিমের কোনও হাত নেই, সে কথা সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। কেলিয়ানের মতে, অতিরিক্ত তেল দিয়ে ডিম ভাজা কিংবা ডিমের সঙ্গে সসেজ, সালামি, বেকনের মতো খাবার কিন্তু ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, এই ধরনের খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। সসেজ বা বেকনজাতীয় খাবারে সোডিয়ামের মাত্রাও বেশি। এই সব ফ্যাক্টর কিন্তু হার্টের রোগ, কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার কারণ। তাই ডিম সেদ্ধ করে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা।