এসি ছাড়া থাকতে পারেন না, কী ক্ষতি হচ্ছে? ছবি: ফ্রিপিক।
দিনের বেশি সময় অফিসেই কেটে যায়। সেখানে বাতানুকূল ঘরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ। আবার বাড়ি ফিরেও এসি না চালালে আরাম হয় না। নিজের গাড়ি হোক বা অ্যাপে ট্যাক্সি বুক করুন, সেখানেও এসি ছাড়া চলে না অনেকেরই। সর্ব ক্ষণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জায়গায় কনকনে ঠান্ডার মধ্যে থাকার কী কী প্রভাব শরীরে পড়তে পারে, সে বিষয়ে সচেতন নন অনেকেই। আর এখন আবহাওয়ার বদলে যে ভাবে গরম বেড়েছে, তাতে বাতানুকূল যন্ত্রের চাহিদাও বেড়েছে। মানুষজন স্বাভাবিক তাপমাত্রায় শরীরকে সইয়ে নেওয়ার অভ্যাসই ভুলে গিয়েছেন।
বেশি ঠান্ডায় থাকার কী কী প্রভাব পড়ে শরীরে?
১) মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে পারে। একটানা ঠান্ডায় থাকলে মাথাব্যথার সমস্যা বাড়ে।
২) বেশি ক্ষণ ঠান্ডা ঘরে থাকলে শরীরে জলের ঘাটতি হতে পারে। শরীর স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। তাই এসি ঘরে থাকলে জল তেষ্টাও কম পায়।
৩) এসি শরীরকে ভিতর থেকে শুষ্ক করে দেয়। জল তেষ্টা না পেলেও কিন্তু জলের চাহিদা থাকে। তাই পর্যাপ্ত জল না খেলে পেশির টান ধরতে পারে। প্রচণ্ড ক্লান্তিবোধ হয়।
৪) হাঁপানি বা বা অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থাকলে বেশি সময় এসিতে থাকা বিপজ্জনক। সর্দি-কাশি, হাঁচি কিংবা শ্বাসকষ্টের সমস্যা কিছুতেই কমবে না। ‘অ্যালার্জিক রাইনিটিস’-এর সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে চোখ জ্বালা করবে, ড্রাই আইজ় বা শুষ্ক চোখের সমস্যা হবে, হাঁচি শুরু হলে থামবে না আর শুকনো কাশি খুব ভোগাবে।
৫) অস্থিসন্ধির ব্যথা বাড়তে থাকে বাতানুকূল ঘরে থাকলে। আর্থ্রাইটিসের সমস্যা থাকলে তো কথাই নেই। গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা আরও বেড়ে যাবে।
৬) ত্বকের সংক্রমণ হতে পারে। ত্বক শুষ্ক, খসখসে হয়ে যায়। বাইরের গরম ও ভিতরে এসি-র তাপমাত্রা সম্পূর্ণ আলাদা থাকে। শরীর এই দুই তাপমাত্রার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। এতে ত্বকের বিভিন্ন রকম অ্যালার্জিও দেখা দেয়।